যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শহীদ মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মোস্তফা কবীরকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১৬ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।রোববার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এম এ রব হাওলাদার এ রায় প্রদান করেন।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আব্দুল গফুর, আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের মেম্বর, মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, হাসানুজ্জামান ওরফে হাসান, আব্দুল জব্বার, ফারুক ওরফে ট্যারা ফারুক, বিল্লাল হোসেন, হাসানুজ্জামান ওরফে হাসান (২), আলতাফ হোসেন, সুজাত আলী ওরফে সুজাত হোসেন, আজিম, শহীদ মির্জা তপু, সুলতান আহমেদ ভূইয়া ওরফে হাতকাটা ভুইয়া, মোতাকাব্বির ওরফে কুব্বার, মারুফ। দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই ঝিকরগাছা উপজেলার বর্ণি গ্রামের বাসিন্দা।মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর বর্ণি গ্রামের দক্ষিণ মাঠে ইরি ধানের জমিতে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মোস্তফা কবীর সঙ্গে ওই এলাকার কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় তারা মোস্তফাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এই ঘটনার চারদিন পর ২২ ডিসেম্বর সকাল আটটার দিকে মোস্তফা তার দুই ফুফাতো ভাই জহুরুল ও বুলবুলকে নিয়ে বাড়ি থেকে নারাঙ্গালী বাজারের দিকে যাওয়ার পথে বাজারের পূর্ব দিকে বিল্লালের দোকানের কাছে পৌঁছালে হত্যাকারীরা ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। তারা মোস্তফাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত করে উল্লাস করতে করতে চলে যান।পরে এলাকাবাসী ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে যশোরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তির পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মোস্তফার চাচা গাজী মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ২৩ ডিসেম্বর ঝিকরগাঝা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিকরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান ২০০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর যশোরের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ৫ মার্চ চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এনামুল হক।আলমগীর হান্নান/এমজেড/এমএস
Advertisement