কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর উদযাপন করছে চীন। এ উপলক্ষে রাজধানী বেইজিংয়ে ব্যাপক আয়োজন চলছে। গত সাত দশক ধরে কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে অসাধারণ অগ্রগতি ঘটেছে চীনে। তবে দেশটিতে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এছাড়া কঠোরভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যও বিশ্বে চীনকে ঘিরে কম সমালোচনা হয় না।
Advertisement
বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছে চীন। দেশটির টেলিভিশনে সরাসরি এই অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী অনলাইনেও হাজার হাজার মানুষ এই অনুষ্ঠান দেখছেন।
একটি ছবিতে দেখা গেছে, তিয়ানানমেন স্কয়ারে দশ হাজারের বেশি সেনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সামনে সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে।
চীনের এই জাতীয় দিবস প্রত্যেকের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই বিশেষ দিন উপলক্ষে সপ্তাহ খানেক ছুটি পাওয়া যায়। দেশটির প্রত্যেক নাগরিক এই দিনটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তারা সবচেয়ে ভালো সময়ে জীবনযাপনের জন্য নিজেদের ভাগ্যবান বলে মনে করেন।
Advertisement
৭০ বছর আগে ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর গৃহযুদ্ধের অবস্থান ঘটিয়ে জয়লাভ করে কমিউনিস্ট বাহিনী। তারপরেই কমিউনিস্ট নেতা মাও জেডং গণচীন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।
বেসামরিক কুচকাওয়াজ শুরু হয় ছোট শিশুদের গান দিয়েই। শিশুরা এই বিশেষ দিন উপলক্ষে গেয়ে চলছিল, আজ তোমার জন্মদিন আমার মাতৃভূমি। তোমার জন্মদিনে শুভ কামনা।
এরপর বিশাল জনসমাবেশে গাওয়া হয়, কমিউনিস্ট পার্টি ছাড়া নতুন চীন কখনোই সম্ভব নয়। তিয়ানানমেন স্কয়ারে কমিউনিস্ট নেতা মাওয়ের বিশাল ছবি নিয়ে কুচওয়াজে অংশ নেয়া হয়।
কুচকাওয়াজে সামরিক বাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। এগুলো বিশ্বের যে কোনো দেশে হামলা চালাতে সক্ষম। এর মধ্যে অধিকাংশই পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। সামরিক বাহিনীর ৫৯টি বিভাগের ১৫ হাজার সদস্য কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/এমকেএইচ