বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির মর্যাদার ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় লিগ (এনসিএল) এবং বিসিএলে। টেস্টে যখনেই কোনো ব্যর্থতা দেখা যায়, তখনই কথা ওঠে কেন বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগ শক্তিশালী নয়। এর চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটারদের অধিকাংশই খেলেন না জাতীয় লিগে। নানা কারণে তাদের খেলা হয় না দেশের প্রথম শ্রেণি মর্যাদার লিগে।
Advertisement
এবার বিসিবি উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় দলের হয়ে খেলা ক্রিকেটারদের এনসিএলে খেলানোর জন্য। যদিও সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে মাশরাফি জাতীয় লিগ খেলবেন না। সাকিব আল হাসান খেলতে গেছেন সিপিএলে। সুতরাং, বাকি সিনিয়র ক্রিকেটাররা যেন এনসিএলে খেলেন, সে ব্যাপারে জোর দিচ্ছে বিসিবি।
আস এনসিএল নিয়ে বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন জানালেন, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ থাকছে এবার। মাশরাফি বিন মর্তুজা আর সাকিব আল হাসান ছাড়া জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারই খেলবেন।
মাশরাফি-সাকিব না থাকলেও ‘পঞ্চ পান্ডবের’ বাকি তিন সদস্য তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঠিকই খেলবেন এনসিএলে। তামিম নিজের বিভাগ চট্টগ্রাম আর রিয়াদ খেলবেন ঢাকা মেট্রোর হয়ে। এছাড়া জাতীয় দলের বাকি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ সম্পর্কেও কথা বলেন বিসিবি সিইও ।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করবো তাদের খেলানোর বিষয়ে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অন্তত প্রথম দুই রাইন্ড খেলতে পারবেন।’
অন্যদিকে এনসিএলে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ইস্যুতে বেশ জোর দিচ্ছে বিসিবি। এবার শুরু থেকেই ক্রিকেটারদের ফিটনেসের নিয়ে কথা উঠছে। এনসিএলের প্রথমদিকে ফিটনেসের ব্যাপারে কঠোর থাকলেও শেষ পর্যন্ত নমনীয় হয়ে যায় বোর্ড।
তাহলে কি এবারও তেমন কিছু হবে। মোটামুটি প্রধান নির্বাহীর কন্ঠেও নরম সুর। তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্ট কমিটির সভায় প্লেয়ারদের ফিটনেস নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা ফিটনেস লেভেলের একটা মিনিমাম পর্যায় নির্ধারণ করেছি। কোচরাও এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন। ক্রিকেটারদের বিপ টেস্টে টার্গেট দেয়া হয়েছে ১১। আমরা ফিটনেসের ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এখন নির্বাচকরা যদি কাউকে অন্যভাবে বিবেচনা করেন, তাহলে করতে পারেন। ফিটনেস নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয়েছে। এটি প্লেয়ারদের পারফরমেন্সে ভাইটাল রোল প্লে করে।’
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement