মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও গত কয়েক মাস ধরে তিনি ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার চেষ্টা করছেন। এমনকি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর চেষ্টার পরও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইরান ও মার্কিন প্রেসিডেন্টদের বৈঠকের সম্ভাবনার কথাও জানা যায়।
Advertisement
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ ট্রাম্প-রুহানি বৈঠকের প্রস্তাবের ব্যাপারে তেহরানের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করে দাবি করেছেন, ‘আলোচনার পর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হতে পারে। কিন্তু আমাদের দাবি হচ্ছে, সাক্ষাতের আগে অবশ্যই ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিত হবে।’
জাভেদ জারিফ আরও বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যত কেবল মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে লোক দেখানো সাক্ষাতের ওপর নির্ভরশীল করে রাখতে পারি না। যিনি কিনা কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি মানেন না এবং পারমাণবিক চুক্তি থেকেও বেরিয়ে গেছেন।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, ট্রাম্প যতই রুহানির সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করুক না কেন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে ইরান তাতে রাজি হবে না। তেহরান মনে করে এ ধরনের আলোচনা হতে হবে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের সাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির আলোকে।
Advertisement
কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ট্রাম্প ব্যাপক প্রচার চালিয়েও উত্তর কোরিয়া ও ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। আগামী নির্বাচনে জনসমর্থন লাভের লক্ষ্যে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে লোক দেখানো বৈঠকের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি।
তবে ইরানের কট্টরে অবস্থানের কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টিকে তার নির্বাচনী স্বার্থে কাজে লাগাতে পারছেন না। ইরানের দাবি আলোচনার আগে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। তবে ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত নিজের প্রয়োজনে বিষয়টি কীভাবে সমাধান করেন তা সময়ের ব্যাপার।
এসএ/এমএস
Advertisement