সারাদেশে শুরু হয়েছে শুদ্ধি অভিযান। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ এবং মাদক, জুয়া, ক্যাসিনো ও ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও বেগবান হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলমান শুদ্ধি অভিযান আরও বিস্তৃত হবে।
Advertisement
সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযান জনপ্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও পরিচালিত হবে। এমনকি পুঁজিবাজারেও শুদ্ধি অভিযানের দাবি তুলেছেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, সমাজের অসঙ্গতি এখন দূর করব। একে একে সব ধরতে হবে। কার আয় কত, খুঁজে বের করতে হবে। জানি কঠিন কাজ কিন্তু আমি করব-ই।
শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে এবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভাবমূর্তিও পুনরুদ্ধারে তৎপর সংশ্লিষ্টরা। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রশাসনিক পদসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে ইতোমধ্যে যোগ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (বিমান ও সিএ) দায়িত্বে থাকা মো. মোকাব্বির হোসেন। তিনি যোগ দিয়েই ঘোষণা দেন, বিমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হবে।
জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রশাসন এখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীক। নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও নিয়োগ দেয়ার পর পরিচালক প্রশাসন পদে বসানো হয়েছে একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন হতে পারে বলে জানা গেছে। পদে পদে দুর্নীতি আর অনিয়মের ডেরা বিমানের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে শক্তভাবে হাল ধরতেই মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে।
Advertisement
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক এ প্রসঙ্গে জাগো নিউজকে বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অনেক দুর্নাম রয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে বিমানের মান-মর্যাদা তলানিতে পৌঁছেছে। এ কারণে বিমানের পরিচালনা পর্ষদ সংস্কারমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিমানেও শুদ্ধি অভিযান চালানো হবে। বিমানের ভাবমূর্তি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। বিমান বাংলাদেশের সেবার মান বাড়াতে সরকার আন্তরিকভাবে সচেষ্টা- বলেও জানান তিনি।
মহিবুল হক বলেন, বিমানের সেবা বাড়াতে নতুন উড়োজাহাজ কেনা হচ্ছে, কেনা এখনও শেষ হয়নি। এ বছরই আরও দুটি উড়োজাহাজ আসবে। নতুন উড়োজাহাজ সংযোজন হবে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায়। প্রধানমন্ত্রী ও বিমান প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ও আন্তরিকতার কারণে বিমানে ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হয়েছে।
বিমানে সদ্য যোগদানকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোকাব্বির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বিমানকে একটি আস্থার জায়গায় আনতে কাজ চলছে। দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করে বিমানের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
Advertisement
উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দেশের একমাত্র সরকারি এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশি পতাকাবাহী বিমানটি প্রধানত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঢাকা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়া চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের পাশপাশি অভ্যন্তরীণ সেবাও প্রদান করে থাকে। বিশ্বের প্রায় ৪২টি দেশের সঙ্গে এর আকাশ সেবার চুক্তি থাকলেও মাত্র ১৬টি দেশে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
আরএম/এএইচ/এমএআর/এমকেএইচ