দেশজুড়ে

নূরের ভাতিজা কাউন্সিলর বাদল শ্যোন অ্যারেস্ট

নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে শীতলক্ষ্যা নদী ভরাটের অভিযোগে সাতখুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ও গ্রেফতারকৃত নূর হোসেনের ভাতিজা ও সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। অস্ত্র আইনের মামলায় আত্মসমর্পণ করার পর কারাগারে থাকা বাদলকে রোববার ওই মামলায় অ্যারেস্ট দেখানো হয়।জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৭ জুন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের একজন কর্মকর্তা কাঁচপুরে শীতলক্ষ্যা নদী দখলের অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ ১২ জনের বিরুদ্ধে ১২ জন সাক্ষি দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটে বাদলকে পলাতক দেখানো হয়েছিল।নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের এসআই গোলাম হোসেন জানান, নদী দখলের মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচএম শফিকুল ইসলামের আদালতে বাদলের বিরুদ্ধে পুলিশের গ্রেফতার আবেদন শুনানি হয়েছে। আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে বাদলকে অবৈধভাবে নদী ভরাটের মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।আদালত সূত্র মতে, গত বছরের ২৭ এপ্রিল সাতজনকে অপহরণ ও হত্যা মামলার পরেই আত্মগোপনে চলে যান বাদল। গত ১০ আগস্ট শাহজালাল বাদল নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি অস্ত্র আইনের মামলায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন। পরে ১১ আগস্ট তাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর থেকেই তিনি কারাবন্দি।জানা যায়, শাহ জালাল বাদল নূর হোসেনের বড় ভাই নূর ছালামের ছেলে। গত ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাদলের উত্থান ঘটে। এলাকায় পরিচিতি পায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হিসেবে। গত ২০০১ সালে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এলে চাচা নূর হোসেনের মতো বাদলও এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।ফিরে আসে মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর। বাদলের রয়েছে নিজস্ব একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী বাহিনী। পরিচিতির কারণে নূর হোসেন কারো উপর জুলুম করতে না পারলে তা বাদলকে দিয়ে করাতো নূর হোসেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজে ভালো থেকে নূর হোসেন অপকর্ম করাতো বাদলকে দিয়ে।শিমরাইল মোড়ের সকল পরিবহন টিকেট কাউন্টারের চাঁদা ও সরকারি জায়গা দখল করে দোকানপাট গড়ে তুলে মোটা অংকের ভাড়া আদায় করতো বাদল বাহিনী। বাদল ছিল নূরের গোপন অপরাধের কমান্ডার।শাহাদাৎ হোসেন/ এমএএস/বিএ

Advertisement