রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বগুড়া-নাটোর এবং বগুড়া-রাজশাহী রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো আগাম ঘোষণা ছাড়াই রোববার মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
Advertisement
এদিন সকাল থেকেই বগুড়া চারমাথা বাস টার্মিনাল ও সাতমাথা থেকে নাটোর ও রাজশাহী রুটে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ফলে সপ্তাহের প্রথম দিনে অফিসগামী লোকজনসহ অন্যরা বাধ্য হয়ে বৃষ্টির মধ্যেই ভ্যানে করে গন্তব্যেরে উদ্দেশে রওনা দেন।
বগুড়া শহরের শাকপালা বাসস্ট্যান্ডে সকালে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষের ভিড়। নাটোর-রাজশাহী রুটে কোনো বাস চলাচল না করায় যাত্রীরা বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষা করছেন। ২/১ টি মাইক্রোবাস যাত্রী নিয়ে গেলেও পুলিশ সেগুলোতে তল্লাশি করে নামিয়ে দিচ্ছে। যাত্রীদের কোনো প্রশ্নের জবাবও দেননি পুলিশ সদস্যরা।
বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকার বিএনপির জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সমাবেশে উপস্থিতি কমাতে গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে। পথে পথে নেতাকর্মীদের গাড়ি আটকে নামিয়ে দিয়েছে। অনেকে বিকল্প পথে কষ্ট করে রাজশাহী পৌঁছেছেন।
Advertisement
এ বিষয়ে জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি শাহ্ আখতারুজ্জামান ডিউক জানান, তারা গাড়ি বন্ধ করে দেননি। বৃষ্টিসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে যাত্রী কম হওয়ায় শ্রমিকরা গাড়ি বের করেননি।
অপরদিকে বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল লতিফ মন্ডল জানান, শ্রমিকরা গাড়ি বন্ধ করেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার বিকেলে রাজশাহী নগরীর ফায়ার ব্রিগেড মোড়ে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ছিল। এ কারণে কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই সকাল থেকে বগুড়া-নাটোর বা বগুড়া-রাজশাহী রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
বগুড়া সদর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল বলেন, পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে রাজশাহীর মহাসমাবেশে যোগ দিতে বগুড়া থেকে হাজার খানেক নেতাকর্মী শনিবার রাতেই রাজশাহী পৌঁছান।
Advertisement
বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান জানান, তারা মাইক্রোবাসে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। সকালে নাটোর হয়ে যেতে বাধা পেয়ে তারা ফিরে এসে নওগাঁ হয়ে রওনা দেন। সকাল ৬টার দিকে নওগাঁয় তাদের মাইক্রোবাস আটকে দেয়া হয়। তারা কয়েকজন রাজশাহীগামী ট্রেন ধরার জন্য সান্তাহারে গেলেও ট্রেন মিস করেন। পরে ছাত্রদলে নেতাকর্মীরা গ্রামের মধ্য দিয়ে অনেক কষ্টে রাজশাহীতে পৌঁছান।
লিমন বাসার/এমএমজেড/এমএস