গাজীপুরে কোরবানির পশুহাটগুলো ক্রেতাশূ্ন্য হয়ে পড়েছে। এ কারণে গরুর বেপারিরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। রোববার সকাল থেকে থেমে থেমে আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় গরুর বাজারগুলো কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে গেছে। গরুর বেপারিরা ত্রিপল ও পলিথিন টানিয়ে কোনো মতে বৃষ্টির হাত থেকে গরুগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। কয়েকটি পশুর মাঠে পানি উঠে যাওয়ায় মাঠে বালি ফেলে মাঠকে পানি মুক্ত করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে এবার ২৩টি স্থায়ী পশুর হাট বসবে এর মধ্যে ১৫টি অস্থায়ী, ৫টি অস্থায়ী খাস এবং ৩টি স্থায়ী পশুর হাট। এছাড়া টঙ্গী বাজার চামড়া মহাল, টঙ্গী বাজার সেনাকল্যাণ ভবন ও হোন্ডা ফ্যাক্টরির সামনে, চান্দনা চৌরাস্তা, কোনাবাড়ি, জিরানী বাজার উত্তর পার্শ্বে মোল্লা মার্কেট সংলগ্ন এবং গাজীপুর শহরের মুক্তমঞ্চের পাশে মোট ৬টি চামড়ার বাজার বসার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, এবার এ পশুর হাটগুলো থেকে গত বছরের তুলনায় রাজস্ব আদায় প্রায় অর্ধেক কম হয়েছে।গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কয়েকটি পশুর হাট পরিদর্শন করে দেখা গেছে, মালেকের বাড়ি সেরিনা সিএনজি পাম্পের দক্ষিণ পাশে যে বাজারটি বসেছে তাতে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। ইজারাদারের লোকজন বালি ফেলে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন করে দিচ্ছেন।হাটের ইজারাদার আবুর কাশেম জানালেন, হাটের পশুদের বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া গরু কিনতে আসা ক্রেতাদের চলাচলের রাস্তাটি বালি ফেলে উচু করা হয়েছে। তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে দুপুর পর্যন্ত বাজারে কোনো ক্রেতা আসে নি। বৃষ্টি কমলে ক্রেতার ভিড় বাড়তে পারে।জয়দেবপুর গরুর বাজার এবং বাসন বাইপাসের পশ্চিম পাশে আব্দুর রশিদ সরকারের ইটখোলায় বসা পশুর হাটেও বিকেল পর্যন্ত ক্রেতা শূন্য দেখা গেছে। কয়েকজন ক্রেতা গরু কিনতে আসলেও বৃষ্টি ও হাটে কাঁদা থাকার কারণে বাজারে প্রবেশ করেননি। আমিনুল ইসলাম/এমএএস/আরআইপি
Advertisement