রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ আজ। বিকেলে নগরীর ফায়ার সার্ভিস মোড়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Advertisement
বিএনপির এই সমাবেশে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে অংশ নেবেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু রোববার সকাল থেকে কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে আন্তঃজেলার সবকটি রুটের বাস চলাচল। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক।
বাস বন্ধের কারণ জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন আহ্বায়ক কামাল হোসেন রবি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।’
নানান অজুহাতে অতীতে বাস বন্ধ হলেও বৃষ্টির অজুহাতে বাস বন্ধের ঘটনা এবারই প্রথম। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন কামাল কামাল হোসেন রবি।
Advertisement
এদিকে এই ঘটনাকে সমাবেশ ঠেকানোর ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন বিএনপি নেতারা।
মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের ঢল নামবে। আর এই ঢল ঠেকাতে কৌশলে বাস বন্ধ করে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাস বন্ধে পথে নেমে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বাড়িয়েছে ভোগান্তির মাত্রা। বাধ্য হয়ে বিকল্প যানবাহনে গন্তব্যে যাচ্ছেন রাস্তায় বের হওয়া লোকজন।
অন্যদিকে বিএনপির এই সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নগরীর প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে ব্যাপক চল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষও।
Advertisement
সমাবেশে আসা নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করতেই পুলিশ এই কাণ্ড করছে বলে দাবি করছেন বিএনপি নেতারা।
তবে এই অভিযান নিয়মিত বলছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশ ঘীরে নগরজুড়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশ দ্রুত আইনত ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, বিএনপির এই সমাবেশ নিছক কোনো সমাবেশ নয়। এই সমাবেশ বেগম খালেদা জিয়া ও দেশের জনগণের মুক্তির সমাবেশ। সমাবেশ বন্ধ করতে নানান কৌশল নিচ্ছে সরকার। নেতাকর্মীদের সমাবেশে যোগদান রুখতে সব ধরণের যানবাহন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ নেতাকর্মীদের সামনে কোনো বাধা টিকবে না।
এর আগে নগরীর মাদরাসা মাঠে সমাবেশ আয়োজনে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করেই মাদরাসা মাঠের পাশে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি দেয় নগর পুলিশ। ২২টি শর্তে এই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমবিআর/পিআর