দেশজুড়ে

জমছে গরুর হাট : দাম কমে হতাশ খামারিরা

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে পশুর হাট। জেলার অর্ধশত কোরবানির পশুর হাট জমে উঠলেও দাম কম হওয়ায় দেশিয় খামারিরা হতাশ। এর কারণ হচ্ছে ভারতীয় গরুতে সয়লাব হয়ে গেছে হাটগুলো। এদিকে আবার হাট ইজারাদাররা নির্ধারিত মূল্যের দ্বিগুণ টাকা নিচ্ছেন। সরকার নির্ধারিত গরু/মহিষ প্রতি ১৮০টাকার স্থলে ৩শ থেকে ৫শ টাকা এবং ছাগল/ভেড়া ৮০টাকার স্থলে ২শ ৫০টাকা নেয়া হচ্ছে। খামারি শাসুল ইসলাম, এরশাদ হোসেন, জিল্লুর রহমান জানান, কোরবানির ঈদে পশুর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। এ কারণে ঈদের ৯ মাস আগে ছোট গরু বাণিজ্যিকভাবে পালা শুরু করা হয়। আশা একটাই ভাল দাম পাওয়ার। কিন্তু এখন সে আশা গুড়েবালি। এখন খরচ উঠবে কিনা সন্দেহ। কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার খামারি মোজাম্মেল হোসেন সাবেরী ৩০টি গরুর খামার গড়েছেন। এখন পর্যন্ত তার ব্যয় সাড়ে ৫ লাখ টাকা। তার আশা ছিল এ সকল গরু ঈদে বিক্রি হবে প্রায় ৯লাখ টাকা। কিন্তু ভারতীয় গরুর কারণে এখন বাজার মূল্য প্রায় ৬ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা। খর, ভূট্টা, গম, ধানের আটা, ঘাস, চিকিৎসা ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিদিন খরচ বাড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশিয় খামার বন্ধ হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল জাকির হোসেনের দফতরের প্রেস রিলিজ সূত্রে জানা গেছে, রোববার পর্যন্ত গত ৭ দিনে ধরলা ব্রিজ করিডোরে ভারতের গরু আসে ১২ হাজার ৬শ ৩৪টি। এছাড়া রৌমারী করিডোর দিয়ে একই সময়ে গবাদি পশু আসে প্রায় ১৫ হাজার। ফলে জেলার পশুর হাট এখন ভারতীয় গরুতে সয়লাব। কুড়িগ্রাম জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট যাত্রাপুর হাট। এখানে গরু ও মহিষের জন্য নেয়া হয় ৩শত টাকা, গরু ভর্তি ট্রাকে নেয় ১শ ৫০টাকা। গরু ও ভেড়ায় নেয়া হয় ২শ৫০টাকা। উলিপুরের থেতরাই হাটে গরু বিক্রেতার কাছে ২শ টাকা এবং গরু ক্রেতার কাছে নেয়া হয় ৩শ টাকা। অর্থাৎ প্রতি গরু বিক্রি হলে হাট ইজারাদারকে দিতে হয় ৫শ টাকা। এ ব্যাপারে যাত্রাপুর হাট ইজারাদার আব্দুল গফুর জানান, বাড়তি খরচের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়। কারণ সরকারিভাবে হাটের জায়গা নেই। সে কারণে হাটের জন্য জায়গা ভাড়া দিতে হয়।নাজমুল হোসেন/এসএস/আরআইপি

Advertisement