আন্তর্জাতিক

রবীন্দ্রভারতীর পাঠ্যসূচিতে মান্না দে

মান্না দের সঙ্গীত জীবনকে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তাভাবনা করছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা মান্না দের জামাই জ্ঞানরঞ্জন দেবকে ফোনে জানিয়েছে রবীন্দ্রভারতী। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই পাঠ্যক্রমে চলে আসবেন মান্না দে।বেঙ্গালুর থেকে জ্ঞানরঞ্জনবাবু বলেন, ‘এই খবরে আমরা দারুণ খুশি৷‘ তিনি আরও বলেন, ‘মান্না দে শুধু আধুনিক বাংলা গানেরই মাইলস্টোন নন, ভারতীয় সংগীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র৷ তার সৃষ্টি অবশ্যই পাঠ্যসূচির মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাছে৷‘রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরি বলেন, ‘জ্ঞানরঞ্জনবাবু সম্প্রতি আমার কাছে এসেছিলেন দু‘টি প্রস্তাব নিয়ে৷ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে একটি অধ্যায় মান্না দের উপর রাখার অনুরোধ করেছিলেন৷ আমরা সেই প্রস্তাব পেয়ে খুশি৷ বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে৷‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস কোর কমিটির সদস্য গায়িকা ইন্দ্রানী সেন বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর কমিটির একটা মিটিংয়ে প্রস্তাব করি, শুধু রবীন্দ্রনাথ কেন, বাংলার অন্যান্য গুণীদেরও পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হোক৷ মান্নাদার কথা সে প্রসঙ্গেই এসেছিল৷ সত্যি বলতে, আমরা তো জ্ঞানেন্দ্রকৃষ্ণ গোস্বামী এবং ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীকে হারিয়েই ফেলেছি৷ আমি চাই না, আমাদের আগের প্রজন্মের আর কোনও শিল্পী হারিয়ে যান৷ এই উদ্যোগকে আমি অবশ্যই সাধুবাদ জানাব৷‘এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কাইভে ‘মান্না দে গ্যালারি‘টি আরও সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে শুরু হয়েছে শিল্পীর পরিবার ও বিশ্বব্যিদালয়ের পক্ষ থেকে। কয়েক বছর আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের আর্কাইভে মান্না দের উপর গ্যালারিটি তৈরি হয়৷মান্না দে গায়ক হিসেবে ছিলেন আধুনিক বাংলা গানের জগতে সর্বস্তরের শ্রোতাদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ও সফল সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব। এছাড়াও তিনি হিন্দি এবং বাংলা সিনেমায় গায়ক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। মোহাম্মদ রফি, কিশোর কুমার, মুকেশের মতো তিনিও ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সঙ্গীত জীবনে তিনি সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন। তার এ অসামান্য অবদানের কথা স্বীকার করে ভারত সরকার ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননায় অভিষিক্ত করে। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে রাজ্যের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান “বঙ্গবিভূষণ” প্রদান করে। ড়ত বছর ২৪ অক্টোবর তিনি মৃত্যু বরণ করেন। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

Advertisement