‘আচ্ছা, বোর্ড লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেবে? তার কি বিসিবি পরিচালক পদে থাকা হবে? ব্যক্তি জীবনে যত হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক আর নিবিড় বন্ধুত্বই থাকুক না কেন, লোকমান হোসেন ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকার কারণে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন তার বিরুদ্ধে কি কোন পদক্ষেপ নেবেন? যদি নেন, সেটা কেমন পদক্ষেপ হবে?
Advertisement
সাংবাদিকদের কাছ থেকে এমন প্রশ্নর মুখোমুখি হয়ে নাজমুল হাসান পাপন অনেক কথাই বলেন। তবে একটি কথা অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। বিসিবি প্রধান অকপটে স্বীকার করেন, মোহামেডান ক্লাবে যে ক্যাসিনো চলতো, তিনি তা জানতেন না। কারণ তার বন্ধু লোকমান তাকে কখনো তা বলেননি।
পাপনের কণ্ঠে তাই খানিক বিস্ময়, ‘আমাকে লোকমান কোনোদিন বলেনি যে ক্লাবে একটি ক্যাসিনো আছে। এটা কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার। সে আমার বন্ধু। আমি নিজেও জানতাম না, আমাকে কখনো বলেইনি। এখন দেখা যাক, সব বের হয়ে আসবে।’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন যা বললেন, তার সারমর্ম হলো, এখনই কোন পদক্ষেপ নেয়ার কিছু নেই। আগে অভিযোগ প্রমাণ হোক। তারপর সিদ্ধান্ত। তবে পাপন জোরের সাথে বলেন, কোন ছাড় পাবার কিছু নেই। অন্যায় করে থাকলে তার বিচার হবে।
Advertisement
‘আমাদের তো কোনো পদক্ষেপ নেয়ার কিছু নেই। যদি অপরাধ প্রমাণিত হয়, তখন অবশ্যই বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এখন কোনো কিছু বলা তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। আমার কথা হচ্ছে যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, তাহলে তার বিচার হবে। এখানে কোনো ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। বিসিবিতেও কখনো আমি ছাড় দেইনি, এটি হতেই পারে না।’
ঢাকার ক্লাব পাড়ার পরিবেশ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমি আপনাকে বলি। ক্লাবে তাস খেলা হয়, এটি আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি। আমি অনেক ক্লাবে খেলেছি। কোনো ক্লাবে ক্রিকেট খেলেছি, কোথাও ফুটবল খেলেছি, কোনো ক্লাবে ব্যাডমিন্টন খেলেছি, টেবিল টেনিস খেলেছি, ক্যারাম খেলেছি। আমি দেখেছি বিকেল বেলা খেলা হতো, সন্ধ্যার পর একটি ঘর থাকতো, সেখানে সিনিয়ররা খেলতো। আমরা যারা ছিলাম সেখানে আমাদের কোনো অনুমতি ছিল না যাওয়ার। আমরা যেতাম না। সেখানে সিনিয়র মানুষরা তাস খেলতো। এই তাস খেলা আমি সারা জীবনই দেখে এসেছি। এই তাস খেলা যে এখন ক্যাসিনোতে চলে এসেছে, এই ব্যাপারে সত্যি বলছি কোনো ধারণা ছিল না আমার।’
এআরবি/এমএমআর/পিআর
Advertisement