২০১৫ সালে সই হওয়া পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ায় যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা নিরসনে ইরান প্রস্তুত রয়েছে যদি যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় এই চুক্তিতে ফিরে আসে এবং তেহরানের ওপর আরোপিত সকল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে।
Advertisement
ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি রাবিই গতকাল বুধবার এমন কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি চুক্তিতে ফিরে এসে আমাদের দেশের ওপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় শুধু তাহলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইরানের পক্ষে অনেক বেশি আশ্বাস দেয়া হয়েছে তাদের। অচলাবস্থা নিরসনে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি একটি প্রস্তাবও পেশ করেছেন, যাতে পারমাণবিক চুক্তির কিছু বিষয়ের সামান্য পরিবর্তন করতে পারি আমরা।’
তার দাবি, বর্তমান সরকার দেশের জনগণের স্বার্থ দেখার চেষ্টা করছে। যদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় আর পারমাণবিক চুক্তি তার প্রকৃত মর্যাদা ফিরে পায় তাহলেই এর ভেতর থেকেই একটা আলোচনার পথ বের হবে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও চুক্তিবদ্ধ রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি থাকবে।
Advertisement
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের যেখানে গেছে সেখানেই সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ঘটেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করেন বর্তমানে নিউইয়র্ক সফরে থাকা রুহানি।
সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে দেয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের যুদ্ধে ইন্ধন যোগাচ্ছে তেহরান। ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে শত্রুতাপূর্ণ বলে অভিযোগ তুলে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
পারমাণবিক চুক্তি নিয়েই মূলত গত বছর থেকে তেহরান আর ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। ২০১৫ সালে বিশ্বের ক্ষমতাধর ছয় দেশ ইরানের সঙ্গে যে পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ক চুক্তি করেন তা থেকে ট্রাম্প গত বছর যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে ইরানে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে এ উত্তেজনার সূত্রপাত।
এসএ/পিআর
Advertisement