জাতীয়

পাঁচ কোটি টাকা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনুর কর্মচারী আবুল কালাম রহমানের বাসায় অভিযান চালিয়ে দুই কোটি টাকা ও রিভলবার উদ্ধারের ঘটনায় রাজধানীর ওয়ারী থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় ওয়ারী থানায় র‍্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক দুটি মামলা (যথাক্রমে নম্বর- ৩৩, ৩৪) দায়ের করে।

র‍্যাব-৩ এর এক কর্মকর্তা জানান, এনামুলের কর্মচারী আবুল কালাম রহমানের নামে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত এনামুল ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর ৩১ নম্বর বানিয়ানগর, ৮৩১ নম্বর লালমোহন সাহা স্ট্রিট ও নারিন্দার ২২১ নম্বর শরৎগুপ্ত রোডে পৃথক তিনটি অভিযান চালায় র‍্যাব। অভিযানে পাঁচটি সিন্দুক থেকে নগদ পাঁচ কোটি টাকা, দুটি পিস্তল, একটি শর্টগান, একটি রিভলবার, দুটি ইয়ারগান ও ৭৩০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

সে সময় র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল জানান, প্রথম অভিযানে এনামুল ও তার ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাসা থেকে তিনটি সিন্দুকে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা, ৭৩০ ভরি সোনা ও পাঁচটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

দ্বিতীয় অভিযানে ৮৩১ নম্বর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের এনামুলের কর্মচারী আবুল কালামের বাসার একটি সিন্দুক থেকে দুই কোটি টাকা ও গুলিসহ একটি রিভলভার উদ্ধার করা হয়।

তৃতীয় অভিযানটি চালানো হয় নারিন্দার শরৎগুপ্ত রোডের ২২১ নম্বর রোডে এনামুলের বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায়। সেখান থেকে থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়

Advertisement

মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের অংশীদার এনামুল। এত বিপুল পরিমাণ টাকার সুনির্দিষ্ট উৎসের তথ্য জানতে না পারলেও ক্যাসিনোর টাকা বলে ধারণা করছেন অভিযান সংশ্লিষ্টরা। এত টাকা লুকিয়ে রাখার জন্য বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়। এ জন্য এনামুল তার টাকায় স্বর্ণ কিনে রাখতেন

এআর/বিএ