ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সদ্য বহিষ্কৃত) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার মামলার তদন্তভার র্যাবকে দেয়া হয়েছে। এতো দিন তার অস্ত্র ও মাদক মামলার তদন্ত করছিল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় আদালতের মঞ্জুর করা সাতদিনের রিমান্ড চলাকালীন মামলাটি র্যাবে হস্তান্তর করা হলো।
Advertisement
বুধবার সন্ধ্যায় মামলা দুটির তদন্তভার ডিবির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান জানান, খালেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা দুটির তদন্ত করবে র্যাব। ওই মামলাগুলোর নথিপত্র র্যাব ইতোমধ্যে হাতে পেয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গুলশান থানায় দায়েরকৃত এ দুই মামলায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর তদন্তভার পায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এতো দিন মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়েই চলছিল তার জিজ্ঞাসাবাদ। আগামী শুক্রবার তার রিমান্ড শেষ হওয়ার কথা ছিল।
Advertisement
অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার দায়ে গ্রেফতার খালেদের বিরুদ্ধে গুলশান ও মতিঝিল থানায় পৃথক চারটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা ( নং-২৩, ২৪ ও ২৫) এবং মতিঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি মাদকের মামলা (নং-৩১) করা হয়।
পৃথক আদালত শুনানি শেষে গুলশানের অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন রাজধানীতে অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে গ্রেফতার এই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। একই থানায় মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দায়েরকৃত অপর মামলাটির তদন্ত করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে আটক করা হয়। আটকের সময় খালেদের বাসা থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, লকার থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। সেগুলো গণনার পর ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ডলারেরও বান্ডিল পাওয়া যায়। টাকায় তা ৫-৬ লাখ টাকা হবে বলে জানায় র্যাব। এ ছাড়া তার কাছ থেকে তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দুটি লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল। এআর/জেএইচ/এমকেএইচ
Advertisement