জাতীয়

ধানের জাত উদ্ভাবনে ‘সেঞ্চুরি’ বিআরআআই বিজ্ঞানীদের

গবেষণা করে বিভিন্ন প্রকারের ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনে অনন্য রেকর্ড স্থাপন করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরআরআই) বিজ্ঞানীরা। ১৯ সেপ্টেম্বর রেকর্ডটি করেন তারা। সর্বশেষ ব্রি ধান-৯৩, ৯৪ ও ৯৫ প্রজাতির নতুন ও হাইব্রিড ৬ প্রজাতির ধান চাষের জন্য অবমুক্ত ঘোষণার মধ্য দিয়ে ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনে একশো পূর্ণ করল বিআরআরআই।

Advertisement

বিআরআরআই মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে ব্রি-১ জাতের ধান উৎপাদনের মধ্য দিয়ে বিআরআরআই যাত্রা শুরুর পর থেকে দীর্ঘ পথ পরিক্রম করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিআরআরআইয়ের নিজস্ব ৩টি ও হাইব্রিড ৬ ধরনের ধান প্রবর্তনের মাধ্যমে সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করে। এটি দেশের জন্য অনেক বড় সম্মান ও গৌরবজনক সংবাদ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ীতে কৃষি তথ্য সার্ভিসের উদ্যোগে সাংবাদিকদের ‘আধুনিক কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে মো. শাহজাহান কবীর এ সুসংবাদ দেন।

Advertisement

বিআরআরআই মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির বলেন, আগাম বৃষ্টি, বন্যা, খরা, ঝড়, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা ও জলোচ্ছ্বাসসহ জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির পাশাপাশি আবাদি জমির পরিমাণ আগের তুলনায় কমে যাওয়া, জমির উর্বরতা হ্রাস ও মিঠা পানির অভাব সত্ত্বেও বাংলাদেশ খাদ্যে চাহিদা মেটাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের গবেষকরা বিভিন্ন জাতের ধান গবেষণা করে অল্প জমিতে বেশি আবাদ করার উপায় বের করেছেন।

ড. কবির বলেন, বিআরআরআই ধান উৎপাদনের জন্য ভিশন-২০৫০ প্রণয়ন করেছে। সে সময়ে বাংলাদেশের সম্ভাব্য ২৫ লাখ জনসংখ্যার জন্য ১ কোটি ৩০ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন করতে হবে। বর্তমানে ধানের উৎপাদন ৩৮ লাখ মেট্রিন টন। এজন্য ধানের ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ধারা অব্যাহত রাখতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এমইউ/এসআর/এমএস

Advertisement