বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত লাগোয়া ভারতের ত্রিপুরার সাবরুম এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) শিগগিরই প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম এ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে বাংলাদেশ থেকে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
Advertisement
বুধবার ত্রিপুরার এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাবরুমে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া পুরোদমে এগিয়ে চলছে। কেন্দ্র থেকে এ বিষয়ে ছাড়পত্র পাওয়ার পর শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আলোচনা করতে আগামী ৪ অক্টোবর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আমি আশা করছি, সাবরুমে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় শিগগিরই আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন পাবো। এটি প্রতিষ্ঠিত হলে প্রতিবেশী বাংলাদেশের বিশাল বাজার ধরা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী। আমরা যদি সেখান থেকে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারি, তাহলে ত্রিপুরার প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। ত্রিপুরায় বিদেশি বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।’
Advertisement
ত্রিপুরার এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাবরুমে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনেক কারণ আছে। এখানে ভারতীয় রেলওয়ের গুদাম রয়েছে, ফেনি নদীর ওপর ভারত-বাংলাদেশ সেতু তৈরির কাজ চলছে; ২০২০ সালের মধ্যে এই সেতুর কাজ শেষ হবে। আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাবরুমের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার জন্য যা দরকার, তার সবই এখানে আছে।
২০১৮ সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নির্বাচনী প্রচারণায় বেশকিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল; ত্রিপুরায় একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার ছিল তার মধ্যে অন্যতম। নিয়ম অনুযায়ী, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে ন্যূনতম ২৫ একর জমির প্রয়োজন। সাবরুমে প্রয়োজনীয় জমির কিছুটা কম পাওয়া গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বিল্পব কুমার দেব বলেন, রাজ্য সরকার এক্ষেত্রে নীতি আয়োগের কাছে সামান্য ছাড় চেয়েছে, আশা করা হচ্ছে শিগগিরই জটিলতা কেটে যাবে।
অক্টোবরে ভারত সফরের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নয়াদিল্লিতে বিপ্লব কুমার দেব সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় প্রতিবেশী বাংলাদেশের কাছ থেকে ত্রিপুরায় বিনিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
Advertisement
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে যাতে নিয়ম-কানুন শিথিল করা হয় সে ব্যাপারে দেশটির কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তিনি একটি স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, নর্থ ইস্ট ট্যুডে।
এসআইএস/এমকেএইচ