নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিদায় নিয়েছে ঘরভর্তি শিশুর হৈ-হুল্লোড় করে বেড়ে ওঠাও। এখন প্রায় সব বাসায়ই একটি কি দুটি শিশু। পরবর্তী প্রজন্ম বেড়ে উঠছে অনেকটা নিঃসঙ্গতাকে সঙ্গী করে। ভাইবোনের খুনসুটি, খেলনা কিংবা খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ির স্মৃতি তাদের নামের পাশে জমা হচ্ছে না।
Advertisement
এদিকে কন্যা সন্তান নিয়ে মন খারাপ করার কুপ্রথা অনেকটা কমলেও, পুরোপুরি এখনও কমেনি। এখনও বেশিরভাগ বাড়িতেই একের অধিক কন্যাশিশু হলেই মন খারাপের ঢল নামে যেন। কোনো কোনো সংসারে তো অশান্তিও দেখা দেয়। বদলে যাওয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এক সন্তান নীতি লাভজনক হলেও আপনার একমাত্র সন্তানের জন্য তা মোটেও লাভজনক নয়।
ভাই বা বোনের সঙ্গে বেড়ে ওঠা একটি শিশুর জীবনে অত্যন্ত আনন্দদায়ক বলে জানাচ্ছে গবেষণা। তার মধ্যেও বিশেষ ভাবে বিজ্ঞানীরা বলছেন বোন থাকার কথা। ছেলে হোক বা মেয়ে, তার যদি একটি বোন থাকে তো সেই জীবনের আনন্দই আলাদা বলে গবেষণায় প্রকাশ। তাই এখনও কন্যা সন্তান জন্ম নিলে যাদের দুঃখের শেষ থাকে না, তারা দেখে নিন যে আপনার মেয়ে আপনাকে কতভাবে সাহায্য করতে পারে।
ছোটবেলা থেকে বড় হয়ে উঠেও বোন সবচেয়ে কাছের বন্ধু হতে পারে। নিজের বোন থাকলে সেই শিশুর মধ্যে মায়া-মমতা ও ভালোবাসার মতো গুণ সবচেয়ে বেশি প্রকাশ পায়। ম্যাচিওরিটিও তাড়াতাড়ি আসের বোনের প্রভাবে। এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা।
Advertisement
৩৯৫টি পরিবারের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন ব্রিংহাম ইয়ং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। এমনকি ভাই-বোনের মধ্যে ঝগড়াও মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপযোগী বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
এইচএন/এমকেএইচ