আসন্ন ঈদুল-আজহা উপলক্ষে বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তীরন নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) এর ঈদ স্পেশাল সার্ভিস। এবার সরকারি এ সংস্থার ৭টি জাহাজের মাধ্যমে বিশেষ এ যাত্রী সেবা চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এছাড়া একই দিন থেকে ১৭টি লঞ্চের মাধ্যমে বেসরকারি লঞ্চ মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীন যাত্রী পরিবহন সংস্থাও স্পেশাল সার্ভিস শুরু করবে।বরিশাল বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ জানান, শিডিউল অনুযায়ী এবারের স্পেশাল সার্ভিসে পিএস টার্ন, পিএস মাহসুদ, পিএস অস্ট্রিচ, পিএস লেপচা ও এমভি মধুমতি এবং এমভি বাঙালি জাহাজ যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকবে। আর পিএস সেলাকে চাঁদপুরে স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী এটিকে স্পেশাল সার্ভিসে যুক্ত করা হবে। তিনি আরো জানান, আগামীকাল (সোমবার) ঢাকা থেকে সংস্থার ৩টি জাহাজ ঘরে ফেরা যাত্রীদের নিয়ে বরিশাল ও চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে বিকেল ৫টায় পিএস শেলা চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। আর এমভি মধুমতি সন্ধ্যা ৬টায় ও পিএস টার্ন ৭টায় বরিশালের উদ্দেশ্যে ছাড়বে।বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যাত্রী পরিবহনে আগের চেয়ে এবার বাড়তি লঞ্চ ও জাহাজের সংখ্যা অনেক বেশি রয়েছে। ফলে ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটের যাত্রীদের এবার ভোগান্তি অনেকটাই লাঘব হবে। পাশাপাশি বরিশাল নৌ-বন্দরসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও স্পেশাল সার্ভিস চলাকালে এবারই সর্বপ্রথম নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রীদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ডুবুরি দল এবং অসুস্থ্য যাত্রীদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল টিম নৌ-বন্দরে উপস্থিত থাকবে।জানা যায়, প্রতিবছর বরিশাল-ঢাকা রুটে বেসরকারি ১১ থেকে ১৫টি লঞ্চ স্পেশাল বা ঈদ সার্ভিসে যুক্ত হয়ে থাকে। ঈদের সময় অন্যান্য রুটের আরো লঞ্চ প্রতিবছরই স্পেশাল সার্ভিসে যুক্ত হয়ে থাকে। এছাড়া এবার গ্রিন লাইনের দু’টি ডে সার্ভিস লঞ্চ থাকছে। সবমিলিয়ে এবার আগের চেয়ে বেশি লঞ্চ যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত থাকবে। ফলে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ঈদ যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটা লাঘব হবে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।উল্লেখ্য, ঈদে ঘরমুখো মানুষদের বাড়ি ফেরাতে আজ (রোববার) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের যাত্রা শুরু হয়েছে।আরএস/পিআর
Advertisement