দেশজুড়ে

পুকুরে স্কুলছাত্রীর লাশ, আদালতে আত্মসমর্পণ করল আসামি

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর খুনের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি আইমান নাকিব সাদ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

পাশাপাশি স্কুলছাত্রী সাদিয়া সামাদ লিসার হত্যার বিচার দাবিতে সোমবার রাতে আটোয়ারী উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে মোমবাতি প্রজ্বলন করে প্রতিবাদ জানায় লিসার সহপাঠী, পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা। একই দাবিতে সোমবার দুপুরেও লিসার সহপাঠীসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আটোয়ারী থানার সামনে বিক্ষোভ করে।

১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় স্কুলছাত্রী লিসা। পরদিন সকালে বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে লিসার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর লিসার বাবা বাদী হয়ে একই এলাকার স্কুলশিক্ষক আকতারুজ্জামানের ছেলে আইমান নাকিব সাদ, ফারুক হোসেনের ছেলে আকাশ এবং মজিবর রহমানের ছেলে মেহেদি হাসান মুন্নাকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

Advertisement

লিসা নিখোঁজ হওয়ার পরপরই স্থানীয়রা ওই তিন কিশোরকে আটক করে রাখেন। লিসার মরদেহ পাওয়ার খবরে সাদ পালিয়ে গেলেও বাকি দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। এ সময় আদালতে দুইজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে তাদের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

এদিকে, অভিযুক্ত সাদের আত্মসমর্পণের পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে নির্দোষ দাবি করা হয়। সাদের বাবা মো. আক্তারুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঘটনার দিন স্কুলছাত্রী লিসা তার মায়ের বকুনি ও বাবার ভয়ে পড়তে বসে পড়ার টেবিল থেকে বাড়ির বাইরে যায়। পরদিন সকালে বাড়ির পেছনের একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পায়নি পুলিশ। এতে অনেকে ধারণা করেন, এটি আত্মহত্যা। কিন্তু ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে একটি মহল স্কুলছাত্রীর বাবা মাকে দিয়ে মিথ্যা গল্প সাজায়।’

তবে লিসার বড় বোন সালমা আক্তার আশা বলেন, আমার ছোট বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। পুকুরে ডুবে অথবা পানি খেয়ে মারা গেলে মরদেহ দেখে বোঝা যেত। এমন কোনো আলামত আমরা দেখতে পাইনি। অবশ্যই তাকে হত্যা করে পরে মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

Advertisement

সফিকুল আলম/এএম/এমএস