প্রবাস

সৌদির জাতীয় দিবসে উৎসব-আনন্দে বাংলাদেশিরাও

জমকালো নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সৌদি আরবের ৮৯তম জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে গতকাল সোমবার। দিবসটি মূলত সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতিবারের মতো এবারও সৌদি আরব অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে এই দিবস উদযাপন করেছে।

Advertisement

১৯০২ সালের ১৫ জানুয়ারি সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আব্দুল আজিজ আব্দুর রহমান আল সৌদ এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে তার পৈত্রিক শহর রিয়াদ দখল করেন। দীর্ঘ প্রায় ৩২ বছর সংগ্রামের পর ১৯৩২ সালের ২১ মে এক রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে আরবের বিভিন্ন অংশের একত্রীকরণের ঘোষণা দেয়া হয়। পরবর্তীতে একই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর আধুনিক সৌদি আরব গঠিত হয়। সেই থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর দিনটিকে সৌদি আরবের জাতীয় দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়।

এদিকে সৌদি আরবের জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সৌদি সরকার ও সে দেশের জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ।

জাতীয় দিবস উপলক্ষে সৌদি আরবের প্রত্যেকটি শহরে ছিল উৎসবের আমেজ। দিবস উপলক্ষে শিশুদের জন্যও রাখা বিশেষ উপহারের ব্যবস্থা। বড়দের জন্য ছিল কনসার্টের আয়োজনও।

Advertisement

জাতীয় দিবসে এবার সরকারি ছুটি ছিল চারদিনের; যার ফলে দেশটিতে বয়েছে আনন্দের বন্যা। আর সেই আনন্দে গা ভাসিয়েছেন বাংলাদেশিরাও। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই তাদের গাড়ি ও মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন, কেউ কেউ আবার বেরিয়েছিলেন পরিবার-পরিজন নিয়েও।

জাতীয় দিবসের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে নামি-দামি শপিং মলগুলো। এসব শপিং মলে ছিল বিশেষ ছাড়। এ ছাড়া মোবাইল অপারেটর কোম্পানি একদিন সব ধরনের কল ও ইন্টারনেট বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছিল।

সৌদি আরবের ছোট-বড় প্রতিটি নগরীতে আলাদা আলাদাভাবে জাতীয় দিবস উদযাপনে নানা রকম উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী জেদ্দা সমুদ্র সৈকতে উৎসবের নানা আয়োজনও করা হয়েছিল।

রিয়াদের মিউনিসিপল করপোরেশন একাধিক স্পটে জাতীয় দিবস উদযাপনের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিজয় দিবস উদযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

রিয়াদ, দাম্মাম এবং আল খোবার নগরীর সমুদ্র সৈকতে আতশবাজির আয়োজন ছিল।

এনএফ/এমএস