ক্যাসিনোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘প্রশাসন জানে না এমন কোনো কাজ বাংলাদেশে হতে পারে না। এর সঙ্গে কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে জড়িত থাকতে পারে।’
Advertisement
মঙ্গলবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে নিরাপদ সড়ক বিষয়ে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
‘ক্যাসিনোতে অভিযান চালানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলার পরই এ অভিযান, এ ট্রেডিশনটা কেমন- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। আমার বিশ্বাস, আমরা যে এখানে মিটিং করছি, এটাও প্রশাসন জানে। ওটাও (ক্যাসিনো) প্রশাসনের জানা উচিত ছিল। তারা যদি না জেনে থাকে, তাহলে তারা অবশ্যই এক্সপ্লেন (ব্যাখ্যা) করবে।
‘কিন্তু প্রশাসন জানে না এমন কোনো কাজ বাংলাদেশে হতে পারে না। এর সঙ্গে কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে জাড়িত থাকতে পারে। থাকতে পারে আমি বলছি। তাদের যে রেসপনসিবিলিটি তা অ্যাবজর্ব করতে পারবে না। সেখান থেকে তারা কেউ বেরিয়ে আসতে পারে না।’
Advertisement
ক্যাসিনোতে সংশ্লিষ্ট থাকায় কয়েকজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়ছে- এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইশতেহারে ও নির্বাচনের পরও বলে আসছেন, তিনি কোনো ক্ষেত্রে অন্যায়, অপরাধ, দুর্নীতি দেখতে চান না। তিনি দেখতে চান সুন্দর সমাজ। মানুষ যে অবস্থায় চলে গিয়েছিল। আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত খুব স্পষ্ট।'
‘সে যত বড়ই হোক না কেন, যারাই অপরাধ করবে তাকে প্রচলিত আইনের আওতায় শাস্তি পেতে হবে। ক্যাসিনোসহ যেকোনো ক্ষেত্রে অন্যায়-অপরাধ হলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো দেখার জন্য এনবিআরকে কি কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে? জানতে চাইলে কামাল বলেন, ‘অবশ্যই, দায়িত্বতো এনবিআরের। রাজস্ব আদায় করার দায়িত্ব এনবিআরের। কিন্তু এনবিআরতো এভাবে টাকা নিয়ে আসতে পারবে না। যদি কারও কাছে টাকা থাকে, এভাবে টাকা এনবিআর আনতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘এনবিআর প্রসেসের মাধ্যমে টাকা আনবে। প্রসেস হচ্ছে আগে তাকে নোটিফাই করবে। এ টাকা তুমি কোথায় পেয়েছো। সে ব্যাখ্যা দেবে। ব্যাংখ্যা দিতে না পারলে অন্য ব্যবস্থা, আর ব্যাখ্যা দিতে পারলে তার আয়ের সঙ্গে যোগ হবে এবং ট্যাক্স আরোপ করা হবে।’
Advertisement
ক্যাসিনোতে যে সারঞ্জম ব্যবহার হয় সেগুলোতো আমদানি করা হয়েছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই এ বিষয়ে এনবিআর কাজ করবে। এগুলোতো কোনো কোনো কম্পোনেন্ট (উপাদান) দেখিয়েই আমদানি করা হয়েছে। এগুলো যখন সংশ্লিষ্ট কোম্পানি গ্রহণ করে তখনতো স্বাক্ষর করতে হয়। সবই আছে, সবই পাওয়া যাবে।
এমইউএইচ/জেডএ/পিআর/এমএস