জাতীয়

ফু-ওয়াং পিয়াসী ড্রাগন বারে ‘সবকিছু ঠিক আছে’!

ক্যাসিনো কিংবা অবৈধ জুয়ার আসরবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে আজ তিনটি বারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে অবৈধ কিছু পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অথচ এর আগে পরিচালিত অভিযানে অবৈধ মাদক, ক্যাসিনো সরঞ্জাম, এমনকি অবৈধ অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

গতকাল অবৈধভাবে ক্যাসিনো ও জুয়া চালানোর দায়ে মতিঝিলের আরামবাগ, দিলকুশা, ভিক্টোরিয়া ও মোহামেডান ক্লাবে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে ক্লাবগুলো থেকে ক্যাসিনো ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

গত ২১ সেপ্টেম্বর হলুদ রঙের ইয়াবা, বিদেশি পিস্তল, ক্যাসিনোর সরঞ্জাম ও ৫৭২ প্যাকেট তাস পাওয়ায় কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। পরে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

Advertisement

ফু-ওয়াং ক্লাবএ ক্লাবে অভিযান চালিয়ে কোনো ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর পায়নি পুলিশ। যদিও ক্লাবটিতে দীর্ঘদিন ধরে জুয়া ও ক্যাসিনো চলছিল বলে অভিযোগ পেয়েছিল তারা। বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়।

অভিযান শেষে আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই ক্লাবে ক্যাসিনো কিংবা জুয়ার মতো কোনো আলামত পায়নি পুলিশ। যে কারণে এই ক্লাবে এসেছি সে ধরনের কিছু পাইনি। তবে এখানে একটা বার রয়েছে। বার পরিচালনার অনুমোদনও তাদের রয়েছে। অবৈধ কোনো কিছু না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলেও জানান ম্যাজিস্ট্রেট।

ফু-ওয়াং ক্লাবের জিএম শামীম বিল্লাহকে প্রশ্ন করা হয় আপনাদের ক্লাবে ঢাকা শহরের প্রথম ক্যাসিনো বসে বলে অভিযোগ আছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এই ক্লাবে তিন বছর ধরে আছি। এখানে কোনো ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর বসে না। তবে আমাদের বারের অনুমতি আছে।’

পিয়াসী বারফু-ওয়াং ক্লাবে অভিযান শেষে মগবাজারের পিয়াসী বারে অভিযান চালানো হয়। সেখানেও অবৈধ কিছু পায়নি তারা।

Advertisement

ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পিয়াসী বারে অবৈধ কোনো জুয়ার আসর বা ক্যাসিনো নেই। এদের বারের অনুমোদন আছে এবং এখানে যারা আসেন তারাও বৈধ গ্রাহক। কেউ কেউ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র সঙ্গেও এখানে এসেছেন। এজন্য কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।

গোল্ডেন ড্রাগন বারফু-ওয়াং ও পিয়াসী বারের মতো রাজধানীর ইস্কাটন রোডের গোল্ডেন ড্রাগন বারেও কিছু পায়নি পুলিশ।

অভিযান শেষে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি পশ্চিম) অতিরিক্ত উপ কমিমনার (এডিসি) হাবিবুন্নবী আনিসুর রশিদ বলেন, আমাদের তথ্য ছিল এটি একটি বার। এখানে অনৈতিক কোনো কিছু হয় কি না- সেটা দেখতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আমরা এদের লাইসেন্স দেখেছি , তাদের কাগজপত্র সব ঠিক আছে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু এখানে অনৈতিক কিছু ছিল না, তাই কাউকে আটক করা হয়নি। তবে আমাদের এই অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলবে।

জেএইচ/এমএস