মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থীদের গ্রহণের ব্যাপারে গত কয়েকদিন ধরেই দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে ইউরোপ। বিতর্ক চলছে দেশগুলোর রাজনীতিবিদদের মধ্যে। এরই মধ্যে হাঙ্গেরি, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়ার মতো দেশগুলোতে শরণার্থীদের আটকে দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদেরকে পাশের দেশে ঠেলে দেয়ার প্রবণতা চোখে পড়েছে।যুক্তরাজ্যে সোয়্যাস ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. মুশতাক খান শরণার্থীদের ইউরোপে ঠাই না হওয়ার পেছনে দুটি কারণকে উল্লেখ করছেন। তিনি বলেন, শরণার্থীরা মূলত যেসব দেশ দিয়ে পার হয়ে পশ্চিম ইউরোপে আসতে চাইছে সেগুলো ইউরোপের নতুন দেশ, যেমন হাঙ্গেরি এবং ক্রোয়েশিয়ার মতো দেশ। তাদের এশিয়া আফ্রিকার দেশের সাথে সেরকম কোন সম্পর্ক ছিল না, তাদের কোনো ঔপনিবেশিক ইতিহাস নেই, ওই সব দেশে এশিয়া আফ্রিকার লোকেরা থাকে না।তিনি আরো বলেন, এই পরিমাণ লোক যখন এসব দেশ দিয়ে পার হবার চেষ্টা করছে, তখন এ দেশগুলোতে এক ধরনের খারাপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। এই শরণার্থীরা বেশিরভাগ মুসলমান, এশিয়ান, তাদের বিরুদ্ধে এক ধরনের বর্ণবাদী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।অন্যদিকে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর ঔপনিবেশিক ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে মুশতাক খান বলেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য বা জার্মানির মতো দেশ এশিয়ায়, আফ্রিকায় শাসন করেছে, ফলে দেশগুলোতে এই শরণার্থী নিয়ে খুব একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়নি।বরং প্রথম দিকে এই দেশগুলোতে এক ধরনের সহানুভূতিশীল আচরণ আমরা দেখেছি। এখন লাখ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে চাইছে।ফলে ফ্রান্স ও জার্মানির মত দেশকেও এখন আতঙ্কিত হতে দেখা যাচ্ছে, কারণ চল্লিশ-পঞ্চাশ লাখ লোক যদি এখন ইউরোপে আসে তাহলে পশ্চিম ইউরোপের বড় দেশগুলোও এত লোককে বহন করতে পারবে না।এসআইএস/পিআর
Advertisement