দেশজুড়ে

সংস্কারের মধ্যেই ভাঙনের কবলে বাঁধ

গত বছর বর্ষা মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত রাজবাড়ীর গোদার বাজার এলাকায় শহর রক্ষাবাঁধ ফেজ-১ এর সংস্কার কাজ এখনও চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে এনজিএল ইটভাটা সংলগ্ন স্থানে পুনরায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

Advertisement

পদ্মায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে ইটভাটার প্রায় ২০ হাজার ইটসহ ওই এলাকার প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মিটার অংশ নদী গর্ভে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা না হলে যে কোনো মুহূর্তে এনজিএল ইটভাটা ও শহর রক্ষাকারী বাঁধ নদীতে সম্পূর্ণ বিলীন হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

রোববার সকালে ভাঙন দেখা দিলেও বিকেল পর্যন্ত তা রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইটভাটা কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয়রা।

সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, গত বছরের বর্ষা মৌসুমে গোদার বাজারের এনজিএল ইটভাটা এলাকায় রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ ফেজ-১ এর ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সংস্কার করা হয়। সেই সংস্কার করা অংশের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মিটার রোববার সকালে হঠাৎ করে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে ভাটার প্রায় ২০ হাজার ইটও নদীতে চলে গেছে। এছাড়া ভাঙন স্থানের আশপাশে বড় বড় ফাটল রয়েছে। সেই সঙ্গে নদীতে রয়েছে তীব্র স্রোত। ফলে ভাঙন আতঙ্কে আছেন ভাটা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা।

Advertisement

ইটভাটার শ্রমিকরা বলেন, সকালে ভাটার পাশে ফাটল দেখা দিলে তারা স্তূপ করে রাখা ইটগুলো সরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। অল্প কিছু সরাতে পারলেও প্রায় ২০ হাজার ইট নদীতে চলে গেছে। ভাটা না থাকলে তারা বেকার হয়ে পড়বে। তাই দ্রুত গতিতে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করতে পাউবোর প্রতি অনুরোধ জানান তারা।

এনজিএল ইটভাটার পরিচালক আলামিন মোস্তফা বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার কারখানা সংলগ্ন শহর রক্ষাকারী বাঁধের প্রায় ৭০ মিটার মুহূর্তের মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় সেখানে প্রায় ২০ হাজার ইট স্তূপ করা ছিল। ভাঙনের পর পাউবোকে বিষয়টি জানালেও বিকেল পর্যন্ত কেউ আসেননি। দ্রুত কাজ শুরু না হলে রাতের মধ্যে ইটভাটার মূল অংশ ভাঙনের কবলে পড়বে। ভাটায় প্রায় ২ শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। ভাটা না থাকলে তারা বেকার হয়ে পড়বে। এছাড়া ভাঙনে হুমকির মুখে পড়বে শহর রক্ষা বাঁধ। তাই জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলাসহ যথাযথ প্রদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তিনি।

জেলা পাউবো কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত। যার কারণে শহর রক্ষা বাঁধের গোদার বাজার এলাকার প্রায় ৩০ মিটার অংশ নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের পর ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেখানে জিও ব্যাগ কাজ শুরু করা হবে।

রুবেলুর রহমান/এমএমজেড/এমকেএইচ

Advertisement