বিনোদন

রানি রাসমণি ও দেবী চৌধুরানির শুটিং বন্ধ

ভারতীয় যেসব সিরিয়াল বাংলাদেশের বহু ঘরেও নিয়মিত দেখা হয় তার মধ্যে ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’ এবং ‘দেবী চৌধুরানী’ অন্যতম। তবে এই এই দুই ধারাবাহিকের ভক্তদের জন্য খারাপ খবর। তা হলো- শুটিং বন্ধ রয়েছে এই দুই ধারাবাহিকের।

Advertisement

মূলত বকেয়া পরিশোধের দাবিতে এই অবস্থা চলছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে ‘কল টাইম’ থাকলেও এই দুই ধারাবাহিকের শুটিং হয়নি। পরিচালকরা যদিও শুটিং ফ্লোরে ফিরেছিলেন। শুটিং হবে বলে আশাও করছিলেন। তাঁরা শুটিং বন্ধ করতে চাননি বলে জানালেন। কিন্তু অন্যান্য গিল্ডও একই দাবিতে শুটিং চালিয়ে যেতে রাজি না হওয়ায় শুটিং শুরু করা সম্ভব হয়নি। ইউনিট সদস্যরা সারা দিন স্টুডিওতে অপেক্ষা করেন সমাধানের আশায়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষার পরে দুই ধারাবাহিকের শুটিং প্যাক আপ হয়ে যায়। সমস্ত গিল্ড বকেয়া টিডিএস পাওয়ার মৌখিক আশ্বাস পেলেও ক্যামেরা গিল্ড পায়নি। ক্যামেরা গিল্ডের সদস্যরা তাই শুটিংয়ে যোগ দিতে চাননি। অবশেষে ফেডারেশন থেকেই শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে ধারাবাহিকের প্রযোজক সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে হরিদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে পরিচালকদের সংগঠন থেকে।

ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট অনিন্দ্য সরকার বলেন, “সুব্রত রায়ের সঙ্গে চ্যানেলের কী কথা হয়েছে আমরা জানি না। কিন্তু চ্যানেল বলছে, ওরা চালাবে ‘রাসমণি’। সে ক্ষেত্রে পুরো লায়াবিলিটি চ্যানেলের নেওয়ার কথা। টেকনিক্যালি চ্যানেল পেমেন্টের লায়াবিলিটি নিচ্ছে, এ বার থেকে যা পেমেন্ট হবে থ্রু চ্যানেল হবে। কিন্তু টিডিএসের দায়িত্ব চ্যানেল নিতে পারছে না স্বাভাবিক ভাবেই। কারও এক বছর, কারও ছ’মাস, কারও দেড় বছরের টিডিএস বাকি। সেগুলোর কী সমাধান হবে? আমার কাছ থেকে টাকা কাটা হলো অথচ কোম্পানি টিডিএস জমা দিল না। এটা ক্রিমিনাল অফেন্স। চ্যানেল থেকে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না আমরা টিডিএস পাব ততক্ষণ সুব্রত রায়কে নতুন করে পেমেন্ট চ্যানেল থেকে করা হবে না। এই জায়গাটায় আসা গেছে।”

Advertisement

‘দেবী চৌধুরানী’-র পরিচালক অমিত সেনগুপ্ত হতাশ, “এত দিন ধরে পরিচালকরা এভাবে প্রতিবাদ করেননি। পরিচালকরা এত দিন সব সময় প্রোডিউসারের পাশে থেকেছে। না খেয়ে, না ঘুমিয়ে দিনরাত জেগে এপিসোড যোগান দিয়ে গেছেন। কিন্তু এ বার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে পরিচালকদের। কারণ তাদের সঙ্গেও প্রোডিউসার বিট্রে করে যাচ্ছেন।”

এনএফ/পিআর