জাতীয়

ক্যাসিনোর সাজসজ্জা দেখে সবার চোখ ছানাবড়া

বিকেল ৩টার দিকে ক্লাব পাড়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, পুলিশ ঢুকেছে আরামবাগ, দিলকুশা, ভিক্টোরিয়া ও মোহামেডান ক্লাবে। কেন ঢুকেছে? এ প্রশ্নের উত্তর সবারই জানা। পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একযোগে এ চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জামাদি, মদ, নগদ টাকা, ওয়াকিটকিসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করেছে।

Advertisement

অভিযান চলাকালে পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যেসব ক্লাবে ক্যাসিনো জুয়া হয় বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আছে, সেগুলোতেই আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা এখানে চারটি ক্লাবে এ অভিযান চালিয়েছি। সকালে গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়নেও আমরা গিয়েছিলাম। তবে সেখানে ক্যাসিনো কিংবা অবৈধ কিছু পাওয়া যায়নি।’

ফকিরেরপুল, আরামবাগ ও মতিঝিলের এ ক্লাব পাড়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাসিনো উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন সেখানে ছিল উৎসুক জনতার ভিড়। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে অনেক সাধারণ মানুষও ক্যাসিনো খেলার স্থানে গিয়ে পুলিশের অভিযান দেখে।

ক্যাসিনো খেলার পরিবেশ দেখে অনেকের চোখই ছানাবড়া। ‘শুনেছিলাম, ক্যাসিনো নাকি সুন্দর করে সাজানো থাকে। কিন্তু এত সুন্দর তা না দেখলে জানতাম না। তাও তো দেখলাম এলোমেলো অবস্থায়’- ভিক্টোরিয়া ক্লাবের ক্যাসিনো থেকে বেরিয়ে বলছিলেন এক যুবক।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব ও ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনোতে র‌্যাবের আচমকা অভিযানের পর থেকেই আরামবাগ, দিলকুশা, ভিক্টোরিয়া ও মোহামেডান ক্লাবের ক্যাসিনো ছিল বন্ধ। রোববার পুলিশ বন্ধ ক্যাসিনোর তালা ভেঙে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালায়।

বন্ধ থাকার কারণে কোনো ক্যাসিনো থেকেই তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জামাদি, কিছু মাদকদ্রব্য এবং ভিক্টোরিয়া ক্লাব থেকে নগদ এক লাখ টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ।

শোনা যায় রাজধানীর বিভিন্ন ধরনের ক্লাবে জুয়া খেলা হয়। তবে কেন স্পোর্টস ক্লাবগুলোতেই বেশি অভিযান হচ্ছে? এমন প্রশ্ন করলে পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দেখুন আমরা কিন্তু সবার শেষে খেলাধুলার ক্লাবগুলোতে অভিযান শুরু করেছি। এর আগে আমরা অন্যান্য যে সব ক্লাবে ক্যাসিনো বা অবৈধ কার্যকলাপ চলে সেগুলোতে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করেছি।’

অবৈধ ক্যাসিনো ও জুয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযানে ক্লাবগুলো খেলাধুলাসহ স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোন ব্ঘাোত ঘটবে কিনা জানতে চাইলে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ক্লাবগুলোতে অভিযান চালাচ্ছি। যে কার্যকলাপ অবৈধ আমরা শুধু সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

Advertisement

আরআই/আইএইচএস/জেআইএম