গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ফাইল নিয়ে পালানোর সময় শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হয়েছেন এক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা।
Advertisement
আটককৃত কর্মকর্তা হলেন- ইঞ্জিনিয়ার নাঈম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার। শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই কর্মকর্তা প্রশাসনিক ভবনের গেট তালাবদ্ধ থাকলেও দেয়াল বেয়ে ভবনে প্রবেশ করে ফাইল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার ইঞ্জিনিয়ার নাঈম বলেন, শনিবার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি মিটিং রয়েছে, যেখানে ২০১৮-১৯-এ কাজের হিসাব দিতে হবে। এ কারণেদেয়াল বেয়ে ফাইল আনতে যাই আমি।
সেকশন অফিসার নাঈম আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের অনুমতি নিয়ে আমি প্রবেশ করেছি। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন ফাইল নিয়ে পালানোর সময় নাঈমকে আটক করেছেন তারা।
Advertisement
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রশাসন তো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে তাহলে তাদের মিটিংয়ের প্রসঙ্গ কীভাবে আসছে। নিশ্চয়ই কোনো বড় ধরনের দুর্নীতির তথ্য লোপাট করতে ফাইল চুরি করতে চেয়েছেন তিনি।
তবে আটক কর্মকর্তা নিজের নাম নাঈম বললেও এবং নিজেকে সেকশন অফিসার হিসেবে দাবি করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়েরিতে এই নামে এবং পদবির কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নুর উদ্দীন আহমেদকে ফোন দেয়া হলেও রিসিভ করেননি তিনি।
গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় প্রশাসন।
Advertisement
তবে ভিসি খন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ভর্তি বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারি, শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য ও স্বৈরাচারী শাসনের অভিযোগ তুলে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এএম/এমএস