জম্মু-কাশ্মীরের একাংশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার জন্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে দায়ী করলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১৯৪৭ সালে নেহেরুর ঘোষিত ‘অসময়ের যুদ্ধবিরতি’র কারণেই এটি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
Advertisement
ভারতের এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কাশ্মীরকে অখণ্ড রাখার ব্যর্থতার দায় জওহরলাল নেহেরুর এবং এই ইস্যুটা যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ছিল দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লবভাই প্যাটেলের।
রোববার মহারাষ্ট্র প্রদেশে বিজেপির এক নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন অমিত শাহ। আগামী মাসে মহারাষ্ট্র প্রদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় ঘোষণা করা হয়েছে।
অমিত শাহ বলেছেন, নেহেরু যদি পাকিস্তানের সঙ্গে অসময়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করতেন তাহলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোনো অস্তিত্ব থাকতো না... নেহেরুর পরিবর্তে এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ছিল সরদার প্যাটেলের। সরদার প্যাটেল কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত সব রাজ্যই ভারতের অংশ হয়েছে।
Advertisement
গত ৫ আগস্ট ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বাতিল হয়ে যায়। রাষ্ট্রপতির আদেশে এখন জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত হবে। কাশ্মীরের এই বিশেষ মর্যাদা বাতিলের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশটির আধাসামরিক কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) অন্তত ৪৩ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়।
বন্ধ করে দেয়া হয় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ। কাশ্মীরিরা অভিযোগ করেছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের বাইরে থাকা অনেকেই এখন পর্যন্ত তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। যদিও দেশটির সরকার বলছে, রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ আগের মতো সচল রয়েছে।
অমিত শাহ বলেন, ‘৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘটনায় বিরোধীদল কংগ্রেস রাজনীতি দেখছে। কিন্তু আমরা এ বিষয়টিকে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি না...আমাদের জন্য এটি জাতীয়তাবাদের বিষয়।’
জওহরলাল নেহেরুর কারণে জম্মু-কাশ্মীর সংবিধানে বিশেষ মর্যাদা পেয়েছিল। এমনকি এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। কাশ্মীরের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত কাশ্মীরি পণ্ডিত, সুফী ও শিখদের রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল
Advertisement
সূত্র : এনডিটিভি।
এসআইএস/জেআইএম