ইরানের বিরুদ্ধে ছোটবড় যেকোনো ধরনের আক্রমণ ঠেকিয়ে তা ধ্বংস করা হবে। যদি সেটা স্বল্পমাত্রার হামলাও হয় তারপরও বাদ যাবে না। সৌদির তেল স্থাপনায় হামলায় তেহরান দায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এমন দাবি করার পর ইরানের এলিট ফোর্স রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) প্রধান শনিবার এই হুমকি দিয়েছেন।
Advertisement
আইআরজিসির প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ইরানের রাষ্টীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘সতর্ক হোন, ছোট হামলাও কিন্তু আর ছোট থাকবে না। আমরা যেকোনো ধরনের হামলা প্রতিরোধ করে তা ধ্বংস করবো। আক্রমণকারী সম্পূর্ণ ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।’
গতকাল শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদির তেল স্থাপনায় হামলার পর দেশটির আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার জন্যই আরও সেনা পাঠাচ্ছে ওয়াংশিটন। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার অবশ্য একে ‘আত্মরক্ষামূলক’ পদক্ষেপ বলছেন।
ড্রোন হামলার পর তার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনে সৌদি জোটের সঙ্গে যুদ্ধরত হুথি বিদ্রোহীগোষ্ঠী। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হামলার নেপথ্যে আছে ইরান আর সৌদি দাবি করছে যে ড্রোন দিয়ে হামলা হয়েছে তা ইরানের তৈরি। বরাবরের মতো ইরান সৌদি ও যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
Advertisement
এদিকে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষা কমান্ডের প্রধান আমিরালি হাজিজাদেহ বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের হামলা ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির তৈরি করবে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (ইরনা) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরানে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবর বেরিয়েছে। সৌদিতে সেনা পাঠানোর বিষয়টির বিরোধিতা করেছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। ইরানও হুমকি দিয়ে রেখেছে, তাদের ভূমিতে হামলা হলে সর্বাত্মক হামলার মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করবে তারা।
এসএ/জেআইএম
Advertisement