রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি কিংবা সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হোক কাউকেই ক্যাসিনো ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
Advertisement
রোববার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাসিনো আমাদের দেশে আইনসঙ্গত ব্যবসা নয়। যারাই আইনসঙ্গত নয় এমন ব্যবসা করবেন, আমরা তাদের সে ব্যবসা করতে দেব না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতা হোক, সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হোক বা জনপ্রতিনিধি হোক, কাউকেই আইনসঙ্গত নয় এমন ব্যবসা করতে দেব না। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় চাঁদাবাজি ও আইনবহির্ভূত সব ব্যবসার বিরুদ্ধে কাজ করছি।’
Advertisement
অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে বিআরটিএকে কঠোর হতে হবে। আমরা ফুটপাত দখলমুক্ত করতে চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে বিআরটিএ যদি নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন দেয়ার ক্ষেত্রে কঠোর হয়, যার একটি গাড়ি আছে সে যাতে দু’টি বা তিনটি গাড়ি না রাখতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দেয় তাহলে অনেক উপকারে আসবে।
মেয়র বলেন, নগরবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করুক এটা আমরা সবাই চাই। আমরাও চেষ্টা চালাচ্ছি। এই শহরে উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সব শ্রেণির লোকের বসবাস। এমন অনেক পরিবার আছে সদস্য সংখ্যা তিনজন, গাড়ি ৫টি। বাসার কাজের লোকও গাড়ি ব্যবহার করে। এই যে ব্যক্তিগত গাড়ির অপব্যবহার। এটাকে রোধ করতে হবে। ব্যক্তিগত গাড়ি যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই থাকুক।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই ছাত্রলীগের পদ হারান শোভন-রাব্বানী। এরপর আটক হন খালেদ। শুক্রবার যুবলীগের অপর আলোচিত নেতা জি কে শামীমকে নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।
Advertisement
রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করে র্যাব। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে জি কে শামীমের নিকেতনের ডি ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসা ঘিরে ফেলে র্যাব। এর আগে নিকেতন এলাকায় জি কে শামীমের আরেকটি বাসা থেকে তাকে ডেকে আনা হয়। পরে তাকে আটক করেই অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে শামীমকে র্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়।
শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত)। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে।
এআর/জেএইচ/জেআইএম