বৃদ্ধ হতে কে-ই বা চায়! কিন্তু বাস্তবতা হলো, চাইলেও তারুণ্য ধরে রাখা যায় না। সময়ের সাথে সাথে ত্বকে ভাঁজ পড়তে শুরু করে, হাড়ের ক্ষয় হয়। তাইতো বয়স চল্লিশের কোঠা পার হতে না হতেই বৃদ্ধ লাগতে শুরু করে। এর কারণ হলো খাবারের প্রতি আমাদের অনীহা, অনিয়ম ইত্যাদি। কিন্তু এমনকিছু খাবার আছে যা খেলে আপনাকে পঞ্চান্ন কিংবা ষাটে গিয়েও ঠিক তরুণই মনে হবে! জেনে নিন কোন খাবারগুলো-
Advertisement
বেদানা: আমাদের ত্বকে কোলাজেন নামে একটি পদার্থ থাকে যা ত্বককে টানটান রাখে। এই কারণেই ত্বকে তারুণ্য বজায় থাকে। ফ্রি র্যাডিক্যালস ত্বকের এই কোলাজেনকে নষ্ট করে দেয়। ফলে ত্বকে রিঙ্কলস, ফাইনলাইনস ইত্যাদি দেখা দেয়। বেদানা তাই শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। বেদানার রস শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালসগুলোকে নষ্ট করে দেয়। শুধু তাই নয়, কোলাজেনকেও নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। তাই যৌবন ধরে রাখতে নিয়মিত বেদানা খান।
মাশরুম: বয়স চল্লিশের দিকে পা বাড়ালেই কোমর ব্যথা, হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। কিন্তু কাজ না করে তো থাকা যায় না। কাজের চাপে শারীরিক স্ট্রেসের কারণে শরীর আরও ভেঙে পড়ে। শিরদাঁড়াতে ব্যথা শুরু হয়, হাঁটুতে পানি জমে। কেন চল্লিশে এলেই এসব রোগের উপক্রম হয়? ডাক্তাররা বলছেন, ক্যালসিয়ামের অভাব হাড়ের দুর্বলতার একটি মূল কারণ। আর হাড়ের দুর্বলতা থেকেই এসব রোগের উপক্রম। মাশরুম হলো ভিটামিন ডি-এর সম্ভার। ভিটামিন ডি ছাড়া হাড় ক্যালসিয়াম শোষণ করতে পারে না। তাই শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে খেতেই হবে মাশরুম।
আনারস: ত্বকের মধ্যে থাকা কোলাজেন পদার্থটি তৈরি হতে লাগে কয়েকটি অ্যামিনো অ্যাসিড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চল্লিশের পর থেকে শরীরে এই অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা কমে যেতে থাকে। ফলে তৈরি হতে পারে না পর্যাপ্ত কোলাজেন। আনারস রয়েছে ম্যাঙ্গানিজের মত ধাতু যা এই অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করতে প্রধান ভূমিকা নেয়। তাই ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে আনারসকে ডায়েট থেকে বাদ দিলে চলবে না।
Advertisement
বাদাম: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রোটিন, ফাইবার ও মাইক্রোনিউট্র্যান্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপকরণগুলোর ঘাটতিও যথেষ্ট পরিমাণ দেখা যায়। সেইসঙ্গে শরীরে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরলের পরিমাণ যা ডেকে আনে হার্টের বিপদ। বাদামের মধ্যে আখরোট আর আমন্ড কোলেস্টেরল কমানোর জন্য সবচেয়ে উপকারী। একইসঙ্গে শরীরে ঘাটতি হওয়া প্রোটিন ফাইবার ও অন্যান্য উপকরণও সরবরাহ করে এই বাদামগুলোই।
এইচএন/পিআর