দেশজুড়ে

শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনিয়মকারী যে দলেরই হোক তাকে পাকড়াও করতে শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সারাদেশে এই অ্যাকশন চলবে। এখনও সময় আছে এসবের সঙ্গে জড়িতরা সাবধান হয়ে যান।

Advertisement

শনিবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারকে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে উসকে দিচ্ছে বিএনপি। যাতে রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেয়। আমরা ১১ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা আর নিতে পারছি না। দেশবিরোধীরা নির্বাচনে ও আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তারা।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করার জন্য দলের মধ্যে থাকা আগাছা ও পরগাছা পরিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চারদিকে যেহেতু ষড়যন্ত্রের গন্ধ আছে, তাই এদের পরিষ্কার করার এখনই সময়। যেকোনো দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে থাকতে হবে। ওয়ান-ইলেভেনে যেভাবে আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ, ঠিক সেভাবে সামনের পথ পাড়ি দিতে হবে। তৃণমূলের কর্মীরাই আওয়ামী লীগের শক্তি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওদের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের বিএনপির মতো উসকে দিচ্ছে। কোনো এনজিও যদি মানবিক সেবার আড়ালে সরকারবিরোধী কাজ করে তাদের দরকার নেই। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের মর্যাদা রক্ষার্থে দলের যেকোনো নেতাকর্মীকে তার অপরাধের জন্য শাস্তি দেয়া হবে। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। এ লক্ষ্য নিয়ে শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, উপ-দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলমসহ স্থানীয় নেতারা।

সায়ীদ আলমগীর/এমবিআর/এমকেএইচ

Advertisement