দেশজুড়ে

রূপগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর হাট : দাম চড়া

ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গরুর হাট জমে উঠেছে। এবার বাজারে মহিষের চাহিদা কম থাকলেও দেশি গরু ও ছাগলের চাহিদা বেশি। পশুর দাম মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি হওয়ায় বাজারে ক্রেতা থাকলেও পশু বিক্রির হার এখনো বাড়েনি। স্বাভাবিক বাজার দরের তুলনায় এবার বাজারে প্রতিটি গরু ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ দেশি গরু, ছাগল ও মহিষ থাকলেও বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকছেন। উপজেলার শিমুলীয়া হাটে আসা গরু খামারি মিলন মিয়া জাগো নিউজকে জানান, গত বছর কোরবানির পর তিনি ২৮টি গরু গড়ে ২৫-২৬ হাজার টাকা দরে কিনে রাখেন। এক বছরে সেগুলো লালন-পালনে ব্যয় হয়েছে গড়ে আরও ২৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে যোগ হবে পরিবহনসহ আনুষঙ্গিক খরচ। এতে প্রতিটি গরু ৬০ হাজার টাকায় বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। গোলাকান্দাইল হাটে আসা বেপারি ইউনুছ আলী এনেছেন নিজের খামারের ১১টি গরু। ইউনুছ আলী বলেন, এবার ভারতীয় গরু না থাকায় হাটের অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে। দেশীয় গরুর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ার পরও বেচাকেনা জমে উঠেছে। দাম বেশি হওয়ায় বিক্রেতারা সন্তুষ্ট হলেও ক্রেতারা পড়ছেন বিপাকে। অনেকের সামর্থ্য না থাকায় গরু না কিনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এদিকে রূপগঞ্জ উপজেলার কোথাও ইনজেকশন বা অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু মোটা তাজাকরণ না করায় স্থানীয় গরুর চাহিদা বেড়েছে। শনিবার তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া হাটে গরু কিনতে আসা শিল্পপতি মহসিন ভুইয়া ও যাত্রামুড়া এলাকার কাইউম খান জাগো নিউজকে জানান, গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক বেশি। গরু আমদানি কম না হলেও গরুর মালিকরা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন। রূপগঞ্জের পশুর হাটে একাধিক বেপারি ও খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার রাজধানীর পাশে রূপগঞ্জের প্রায় সবকটি হাটে ময়মনসিংহ, জামালপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুরের গরুই বেশি। এরপর দেশি খামারের বেশকিছু গরুও বাজারে এসেছে। হাট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বেশিরভাগ গরুই মোটাতাজা আর স্থানীয় গরু তুলনামূলক ছোট আকারের। গরু ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় গ্রামের মাঠে-ঘাটে পালন করা গরুগুলোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, রূপগঞ্জের গরুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদে বেচা কেনার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে তাই এখানে দেদারছে গরু আসছে। তবে ক্রেতার অভিযোগ, এবার পশু কিনে ইজারাদারকে অতিরিক্ত টোল দিতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লোকমান হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পশুর হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ জাল টাকা সনাক্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।মীর আব্দুল আলীম/এমজেড/এমএস

Advertisement