টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানিলণ্ডারিংয়ের তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Advertisement
মামলাগুলো হলো- অস্ত্র আইনে মামলা নম্বর ২৮(০৯)১৯, মানিলন্ডারিং মামলা নম্বর ২৯(৯)১৯ এবং মাদক মামলা নম্বর ৩০(৯)১৯।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে গুলশান থানায় র্যাবের পক্ষ থেকে মামলা তিনটি দায়ের করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান বলেন, র্যাবের পক্ষ থেকে মাদক, মানিলন্ডারিং ও অস্ত্র আইনে তিনটি অভিযোগ করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হিসেবে জি কে শামীমসহ আটজনকে রিমান্ডে চেয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
Advertisement
গুলশান বিভাগের এডিসি আব্দুল আহাদ জানান, মাদক ও অস্ত্র মামলায় সাতদিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। আর মানিলন্ডারিংয়ের মামলার নথি যাবে সিআইডিতে। সিআইডি সেটা তদন্ত করে দেখবে।
এর আগে দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও তার সাত বডিগার্ডকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব। অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়, যার মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে। পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র।
চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ থাকা রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা শামীমকে ধরতে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সাদা পোশাকে শুরু হয় র্যাবের অভিযান। বিকেল সাড়ে ৪টায় অভিযান শেষে শামীমসহ আটজনকে আটক করার কথা জানায় র্যাব।
Advertisement
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জি কে শামীমকে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, যদি তিনি নির্দোষ হন, তাহলে কোর্টে এগুলোর ব্যাখ্যা দেবেন। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছি, কোর্টে তার বক্তব্য সঠিক হলে তিনি ছাড়া পাবেন।
সারওয়ার আলম বলেন, তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে, যদিও তার মা বড় কোনো ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। বাকি টাকা উনার নামে। ব্যবসায়ী হিসেবে নগদ টাকা থাকতেও পারে। তবে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ ছিল। তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে মাদক পাওয়া গেছে, যেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছি তার নগদ টাকা অবৈধ উৎস থেকে এসেছে। কিন্তু এটা সত্য-মিথ্যা প্রমাণ করার দায়িত্ব তার। এটা তিনি কোর্টের সামনে প্রমাণ করবেন।
অস্ত্রের বিষয়ে সারওয়ার আলম বলেন, তার বিরুদ্ধে বৈধ অস্ত্র অবৈধ কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের কিছু শর্তাবলি থাকে। সেসব ভঙ্গ করেছেন তিনি।
জেইউ/বিএ/এমকেএইচ