আগের তিন সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহেও দরপতনের ধারা অব্যহত ছিল দেশের শেয়ারবাজারে। এই পতনের বাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছে প্রকৌশল খাত। এতে টানা ছয় সপ্তাহ শীর্ষে থাকা ওষুধ ও রাসায়নিক খাত তার স্থান হারিয়েছে।
Advertisement
গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক কমেছে দেড় শতাংশের ওপরে। সূচকের পাশাপাশি বাজারটিতে বাজার মূলধন বড় অঙ্কে কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। তবে প্রকৌশল খাতের কল্যাণে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন’শ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষ স্থান দখলের পাশাপাশি গত সপ্তাহে প্রকৌশল খাতের মোট লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। তবে কমেছে গড় লেনদেন। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইতে প্রকৌশল খাতের শেয়ার লেনদেন বেড়েছে ৭৩ কোটি টাকা। আর গড় লেনদেন কমেছে ১ কোটি টাকা। শীর্ষ স্থানে থাকা প্রকৌশলের গড় লেনদেন কমায় ডিএসইতে গড় লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৭৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪২১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বা ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
Advertisement
গত সপ্তাহে শীর্ষে থাকা প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৮৭ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এই খাতের কোম্পানিগুলোর লেনদেন হয় ৩১৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন দাঁড়ায় ৭৮ কোটি ৬১ হাজার টাকা।
এদিকে টানা ছয় সপ্তাহ শীর্ষে থাকা ওষুধ খাত দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে। গত সপ্তাহে ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২১ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজর টাকা। এতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৪ হয়েছে ৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এই খাতের কোম্পানিগুলোর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয় ৯১ কোটি ৭৪ হাজার টাকা।
শীর্ষ দুই স্থানের মতো পরিবর্তন এসেছে তৃতীয় স্থানেও। বস্ত্র খাতকে সরিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বীমা খাত। ৪০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা গড়ে বীমা খাতের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর চতুর্থ স্থানে নেমে যাওয়া বস্ত্র খাতের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ১১৩ কোটি ৭০ লাখ, ব্যাংক’র ৯৪ কোটি ৬০ লাখ, চামড়ার ৯২ কোটি ৫৩ লাখ, বিবিধের ৯৫ কোটি ২৫ লাখ, খাদ্যের ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ, সিরামিকের ৫৭ কোটি ১৫ লাখ, টেলিযোগাযোগের ৫০ কোটি ৭১ লাখ, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৩১ কোটি ২৮ লাখ, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩৪ কোটি ৯০ লাখ, তথ্যপ্রযুক্তির ৩১ কোটি ৯১ লাখ, ভ্রমণের ৮ কোটি ৪৬ লাখ, কাগজের ৭ কোটি ২৬ লাখ, সিমেন্টের ৭ কোটি ৬৬ লাখ এবং পাট খাতের ১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
Advertisement
এমএএস/এসএইচএস/এমএস