গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তরগাঁও গ্রামে নানা কর্তৃক সাত বছরের শিশু নাতনিকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে শনিবার রাত ৯টায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এলাকাবাসী ওই লম্পটকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। নির্যাতিত ওই শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় উত্তরগাঁও গ্রামের মৃত গিয়াসউদ্দিনের ছেলে শহিদুল্লাহ (৪০) তার উকিল মেয়ের বাড়িতে যায়। ওই সময় উকিল মেয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে সুতা ভরার কাজ করছিল। এ সুযোগে ঘরে ঢুকে সাত বছরের শিশু কন্যা উকিল নাতনিকে একা পেয়ে রুটি খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক নির্যাতন করে।এসময় শিশুটির আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ওই লম্পটকে আটক করে। পরে কাজ থেকে ফিরে নির্যাতিত শিশুটির মা ঘটনা শুনে এলাকাবাসীর কাছে এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন। তখন এলাকাবাসী থানায় খবর দিয়ে পুলিশের কাছে শহিদুল্লাহকে সোপর্দ করেন।এদিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশুটিকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সেন্টারে প্রেরণ করেন। নির্যাতিত শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা অন্যের বাড়িতে আশ্রয়ে থাকে। বাবা অটোরকিশা চালক।সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, লম্পট শহিদুল্লাহ চরিত্রহীন লোক। সে ইতিপূর্বে তার ভাগনিকেও পাশবিক নির্যাতন করেছে। আর ওই ঘটনা তার ভাগনি স্থানীয়দেরকে অবগত করেছিল বলেও স্থানীয়রা জানায়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এ ধেনে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। শহিদুল্লাহ বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক।কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা (নং ১৭) করেছে।আব্দুর রহমান আরমান/বিএ
Advertisement