রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে শুক্রবার দুপুরে আটক করে র্যাব। এরপর থেকেই বের হয় তার একের পর এক কুকর্মের আমলনামা।
Advertisement
তার কাছ থেকে নগদ দেড় কোটি টাকা এবং ১৬৫ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রেটের (এফডিআর) কাগজপত্র পায় র্যাব। এর মধ্যে ১৪০ কোটি টাকা মায়ের ও ২৫ কোটি নিজের নামে। এরপর সাংবাদিকদের ওই নগদ টাকার বান্ডিল দেখার সুযোগ দেয়া হয়।
তবে সাংবাদিক দেখে হতভম্ব হয়ে যান শামীম। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে ছবি তুইলেন না, আমাকে বেইজ্জতি কইরেন না। আমার একটা সম্মান আছে। এখানে যা হচ্ছে, আপনারা দেখছেন। কিন্তু আমাকেও আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দিতে হবে।’
এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্লিজ ছবি তুলবেন না।’
Advertisement
তার এ কথা শুনে র্যাবের এক কর্মকর্তা শামীমকে বলেন, ‘আপনি আমাদের সহযোগিতা করেন। আমাদের সহযোগিতার জন্য ও অভিযানের সচ্ছতার জন্য মিডিয়া আমাদের সহযোগিতা করছে।’
অভিযানের পুরো সময়টুকু নিজেকে ক্যামেরা থেকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন শামীম। কখনও দাঁড়িয়ে, চেয়ারে বসে, হাত দিয়ে মুখ ঢাকছিলেন তিনি। আবার এটা-ওটা খোঁজার জন্য দীর্ঘক্ষণ টেবিলের নিচে মাথা ঢুকিয়েও রাখেন।
জি কে শামীম যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বলে কথা লোকমুখে শোনা গেলেও সংগঠনটির শিক্ষা সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু বলছেন, শামীম যুবলীগের কেউ নন, তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
জেইউ/এআর/জেডএ/এমকেএইচ
Advertisement