২০১৩ সালে এক বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি বলে উল্লেখ করেছিলেন মিয়ানমারের নেতা অং সান সু চি। নিজের স্মৃতিকথা ‘ফর দ্য রেকর্ড'-এ এর উল্লেখ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
Advertisement
২০১২ সালে প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিয়ানমার সফরে গিয়েছিলেন ক্যামেরন। কিন্তু এরপর দেশটির অবস্থা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে সু চির অবস্থান নিয়ে স্মৃতিকথায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি।
ক্যামেরন লিখেছেন, ‘‘আমি গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করি। তিনি শিগগিরই প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করবেন। ১৫ বছরের গৃহবন্দিত্ব থেকে সত্যিকার গণতন্ত্রের পথে যাত্রা, তার এই দারুণ গল্প নিয়েই আমরা কথা বলেছি। কিন্তু ২০১৩ সালের অক্টোবরে সু চি যখন লন্ডন সফরে আসেন, সবার চোখ তখন রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর। বুদ্ধ রাখাইনরা তাদের নিজ বাসস্থান থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল। ধর্ষণ, হত্যা, জাতিগত নিধনসহ অনেক কিছুই আমরা শুনেত পাচ্ছিলাম। আমি তাকে বললাম, বিশ্ব সব দেখছে। তিনি উত্তর দিলেন, তারা আসলে বার্মিজ নয়। তারা বাংলাদেশি। এরপর ২০১৫ সালে তিনি মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় নেতা হলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চলতেই থাকলো''
বাংলাদেশে এখন যে এগারো লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আছে, তার বড় অংশই বাংলাদেশে প্রবেশ করা শুরু করেছিল ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। এরপর জাতিসংঘসহ নানা সংস্থার নানা উদ্যোগের পর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সরকারের আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রত্যাবাসন শুরুর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। বরং প্রত্যাবাসনের শর্ত হিসেবে উল্টো নিজেদের কিছু দাবির কথা তুলে ধরছেন রোহিঙ্গারা। এর মধ্যে আছে - নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, বাড়িঘর জমি ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তার মতো বিষয়গুলো।
Advertisement
এনএফ/এমএস