ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে করা পৃথক দুই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদ আক্তার অস্ত্র আইনে করা মামলার এজহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ অক্টোবর ও ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান মাদক আইনে করা মামলার এজহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
এদিন খালেদকে আদালতে হাজির করে অস্ত্র ও মাদক আইনে করা মামলায় সাতদিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার অস্ত্র মামলায় চারদিন ও ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান মাদক আইনে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া তার জামিন আবেদন নামঞ্জুরের আদেশ দেন আদালত।
Advertisement
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, তার এই রিমান্ড পর্যায়ক্রমে কার্যকর করা হবে। অর্থাৎ এই দুই মামলায় খালেদকে সাতদিন জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।অপরদিকে খালেদের আইনজীবী শুনানিতে বলেন, খালেদ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের স্বীকার।
এর আগে মাদক মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী।
গুলশান থানা সূত্রে জানা গেছে, খালেদের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাবের পক্ষ থেকে গুলশান থানায় মামলাগুলো করা হয়।
এর আগে আটক খালেদকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় র্যাব। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব। আটকের পর তাকে র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
Advertisement
খালেদের বাসা থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, লকার থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। সেগুলো গণনার পর ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া ডলারেরও বান্ডিল পাওয়া যায়। টাকায় তা ৫-৬ লাখ টাকা হবে বলে জানায় র্যাব। এছাড়া তার কাছ থেকে মোট তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দুটি লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে মতিঝিলের ক্যাসিনো পরিচালনার বিষয়টি মতিঝিল থানা পুলিশ, মতিঝিল জোন, পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপি সদর দফতরের কর্মকর্তারা জানতেন বলে দাবি করেন খালেদ। তবে পুলিশের সঙ্গে ক্যাসিনো পরিচালনার জন্য কোনো আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলেননি তিনি।
সূত্র জানায়, খালেদের ক্যাসিনোর বিষয়ে পুলিশ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সংস্থা এবং রাজনীতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জানতেন। তাদের ‘ম্যানেজ করে’ ক্যাসিনো চালাতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি।
জেএ/বিএ