জাতীয়

যে ক্যাসিনোতে হোটেলের বয়-বেয়ারারাও সর্বহারা!

ক্যাসিনোকে ‘অভিজাত জুয়া’ হিসেবেই জানেন অনেকে। যেখানে খেলেন বিত্তশালীরা; কিন্তু রাজধানীর মতিঝিল পাড়ার ক্যাসিনোগুলো যেন সর্বজনীন। এখানে ধনী-গরিব সবাই ঠান্ডাঘরে বসে জুয়া খেলতে পারেন। বছর দুই ধরে ক্লাব পাড়ার মানুষ ক্যাসিনোর সঙ্গে পরিচিত হন। এক এক করে হাফডজন ক্যাসিনো খেলার অঙ্গনে। অনেকে এখন ক্লাব পাড়াকে বলে ক্যাসিনোর সাম্রাজ্য।

Advertisement

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সামনে দাঁড়িয়ে এক তরুণ বলছিলেন, কীভাবে ক্লাব পাড়ার ক্যাসিনোগুলো সবার জন্য উম্মুক্ত হলো। শুরুতে কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা না হলে খেলতে পারতেন না ক্যাসিনোতে; কিন্তু এক দুই করে ক্লাব পাড়ায় ক্যাসিনোর সংখ্যা ৬টা হয়ে গেলে মালিকপক্ষ বেশি মানুষকে সম্পৃক্ত করতে সর্বনিম্ন রেট কমিয়ে দেন। এখন নাকি ১০০-২০০ টাকায়ও ক্যাসিনো খেলার গুটি পাওয়া যায়।

‘এমন আলিশান জায়গায় খেলা। ফ্রি ঠান্ডা। মুফতে খাওয়া-দাওয়া। আর খেলা যায় মাত্র এক-দুশ টাকায়। এমন হলে কে না খেলতে চায়! এই নিয়মটাই বেশি ক্ষতি করেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। এভাবেই ক্লাব পাড়ার হোটেলের বয়-বেয়ারা পর্যন্ত ক্যাসিনোতে ঢুকে যায়। তাদের পুঁজি কম, তাই অল্প কয়েক দিনেই সর্বস্ব হারিয়ে ফেলে’- বলছিলেন ক্লাব পাড়ার এক যুবক।

হাতের ঘড়ি, স্ত্রীর কানের দুল কিংবা নাকের ফুল বেচাকেনাও হয় ক্লাব পাড়ার ক্যাসিনোগুলোতে। টাকা ফুরিয়ে গেলে এসব জিনিস বিক্রি করে আবার কোমর বেঁধে নেমে পড়েন। জুয়া খেলতে খেলতে ঘরবাড়ি-সংসারের কথাও ভুলে যান অনেকে।

Advertisement

এখানকার ক্যাসিনোগুলোতে নাকি প্রায়ই অনেক নারী ছবি নিয়ে এসে তাদের স্বামীর খোঁজ করেন। অনেক নারী অভিযোগ করেন, দু-তিন মাস ধরে তার স্বামী বাসায় যায় না। শুনতে পেয়েছেন এখানে জুয়া খেলে, এখানে খায়, এখানেই ঘুমায়।

আরআই/আইএইচএস/এমকেএইচ