ক্যামেরা হাতে কাউকে দেখলে কিংবা মিডয়ার লোক বুঝতে পারলেই সাধারণ মানুষের জটলা। নিজে থেকেই অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলে দিচ্ছেন সবাই। তাদের কেউ ভুক্তভোগী, কেউ কেউ উৎসুক মানুষ। গড়গড় করে বলতে থাকেন ফকিরেরপুল, আরামবাগ ও মতিঝিল মিলে যে ক্লাব পাড়া- তার কোথায় কোথায়, কীভাবে জুয়ার আসর বসে এবং কীভাবে মানুষ সেখান থেকে নিঃস্ব হয়ে ঘরে ফেরে।
Advertisement
বুধবার বিকেলে ফকিরেরপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাব ও পরে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে র্যাবের অবৈধ ক্যাসিনো উচ্ছেদ অভিযানের পর ওই এলাকায় সকাল থেকে উৎসুক মানুষ ভিড় করলেও পুরো পরিবেশটা থমথমে। বেশিরভাগ ক্লাবেই দায়িত্বশীল কেউ নেই। স্টাফরা দায়িত্ব পালন করলেও তাদের মধ্যে আতঙ্ক। কখন আবার নতুন করে অভিযান শুরু হয়।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ফকিরেরপুল, আরামবাগ ও মতিঝিলের ক্লাব পাড়া ঘুরে দেখা গেছে শুধু উৎসুক মানুষ। যাদের বেশিরভাগেরই অভিযোগ ক্লাবগুলোর এ জুয়ার আসরের কারণে নিঃস্ব হাজার মানুষ। বিভিন্ন ক্লাবের সামনে মানুষ জড়ো হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম দেখছেন।
বেলা ১১টার দিকে দেখা গেছে, ইয়ংমেন্স ক্লাব ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সামনে র্যাবের কয়েটি গাড়ি। দুই ক্লাবের মধ্যেই র্যাব সদস্যরা অবস্থান করছেন। ইয়ংমেন্স ক্লাবে ঢুকতে গেলে এক র্যাব সদস্য জানান, ভেতরে সিলগালার কাজ চলছে। এখন ঢোকা যাবে না। একই ধরনের উত্তর পাওয়া গেছে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ঢুকতে চাইলেও।
Advertisement
এ এলাকায় বেশকিছু ক্লাবের কার্যালয় থাকলেও অবৈধভাবে ক্যাসিনো চলছে ছয়টিতে। এর মধ্যে দুটিতে অভিযান হওয়ার পর বাকি চারটি নিজেদের উদ্যোগেই তালা মেরে রাখা হয়েছে।
ক্যাসিনো বন্ধের অভিযানের পর বিভিন্ন ক্লাবে যে অন্যান্য জুয়ার আসর বসতো তাও গতকাল সন্ধ্যা থেকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ বন্ধ রেখেছে। যেখান থেকে ক্লাবগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রমের অর্থের জোগান আসতো।
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement