প্রতিপক্ষ প্রবল প্রতাপশালী রিয়াল মাদ্রিদ, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে যাদের সমকক্ষ নেই আর কেউ। আর এদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে দলে নেই সেরা তারকা নেইমার জুনিয়র। ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে আক্রমণভাগের অন্য দুই তারকা কাইলিয়ান এমবাপে এবং এডিনসন কাভানি। তবু জয় পেতে কোনো সমস্যাই হয়নি ফ্রেঞ্চ ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর।
Advertisement
নেইমারসহ আক্রমণভাগের নিয়মিত খেলোয়াড়দের অভাব একাই ঘুচিয়েছেন দলের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তার জোড়া গোলে রিয়ালকে পাত্তাই দেয়নি পিএসজি। ডি মারিয়ার জোড়া গোলের সঙ্গে থমাস মিউনার এক গোল করলে ৩-০ গোলের সহজ জয় পায় ফ্রেঞ্চ ক্লাবটি।
চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমের দ্বিতীয় দিন রীতিমতো নাকানি চুবানিই খেতে হলো টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা দলটিকে। পিএসজির মাঠে খেলতে গিয়ে শুরুটা তেমন খারাপ হয়নি জিনেদিন জিদানের শিষ্যদের। স্বাগতিকদের অগোছালো ফুটবলের সুবিধা নিয়ে ভালোভাবেই এগুচ্ছিলেন ইডেন হ্যাজার্ড, করিম বেনজেমারা।
কিন্তু ম্যাচের ১৪তম মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতেই মূলত গোল করে বসে পিএসজি। ঘরের মাঠের দর্শকদের আনন্দে ভাসিয়ে বল জালে প্রবেশ করান ডি মারিয়া। তাকে বলের যোগান দেন হুয়ান বার্নাট। ফাঁকায় দাঁড়ানো ডি মারিয়া বল পেয়েই কোণাকুণি শটে নাম লেখান স্কোরশিটে।
Advertisement
ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যায় পিএসজি। এবারও গোলদাতার নাম অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ৩৩তম মিনিটে ইদ্রিসা গেয়ির পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে পরাস্ত করেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াকে।
দুই গোল হজম করে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা চালায় রিয়াল। পরের মিনিটেই গোলও করেন রিয়ালের ওয়েলস উইজার্ড গ্যারেথ বেল। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিলে দেখা যায় গোলের উদ্দেশ্যে শট নেয়ার আগে, বল তার হাত ছুঁয়ে যায়। ফলে বাতিল হয়ে যায় গোলটি।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে এমন আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিলেন বেনজেমা-বেলরা। কিন্তু পারেননি কাজের কাজ করতে। উল্টো যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করেন পিএসজির বেলজিয়ান ডিফেন্ডার থমাস মিউনার। তিন গোলের পরিষ্কার জয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
'এ' গ্রুপের অন্য ম্যাচে বেলজিয়ামের দল ক্লাব ব্রুজের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে তুরস্কের ক্লাব গ্যালাতাসারাই।
Advertisement
এসএএস/পিআর