বিশেষ প্রতিবেদন

ভাতার নামেও ‘অস্পষ্ট বাণিজ্য’!

দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে ভাতায় চলছে নৈরাজ্য! কোনো কোনো প্রকল্পে ভাতার কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। আবার কোনো কোনো প্রকল্পে নামে-বেনামে রাখা হয়েছে অসংখ্য ভাতার সংস্থান।

Advertisement

কোনো কোনো প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হলেও অস্পষ্ট রাখা হয়েছে ভাতার নাম। একটি প্রকল্পে কোনো খাতকে ভাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্যটিতে সেই খাতকে ভাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। এমনও দেখা গেছে, মূল প্রকল্পে যে পরিমাণ ভাতা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, সংশোধন করে তা সাতগুণের বেশি বাড়ানো হয়েছে।

২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যেসব দেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে তার মধ্যে বাংলাদেশ থাকবে। ওই সময় বৈশ্বিক জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এমন শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় ঢুকবে বাংলাদেশ। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা। তবে আমাদের অগ্রযাত্রার যে গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে আশা করা যায় এর আগেই আমরা সে আশা পূরণ করতে পারব।’

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অগ্রাধিকার পাওয়া বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর গতি বাড়ানোর উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। গতি বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে প্রকল্প-সংশ্লিষ্টদের জন্য রাখা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সম্মানী বা ভাতার ব্যবস্থা। তবে এ ধরনের ভাতা বা সম্মানীতে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে বিভিন্ন ধরনের নৈরাজ্য বা অযাচিত ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকে বিষয়টি ‘নৈরাজ্য’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।

Advertisement

বিশেষ করে আট লাখ টাকা বেশি খরচ দেখিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বই কেনা, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পে একটি বালিশের দাম পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং তা ওঠানোর খরচ বাবদ ব্যয় ৭৬০ টাকা নিয়ে বেশ সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এমনও দেখা গেছে, প্রকল্পের সভায় অংশ নিয়ে সরকারি কর্মকর্তারা সম্মানী হিসেবে যে অর্থ পান, তা কখনও কখনও মূল বেতনেরও দ্বিগুণ দাঁড়ায়। এ কারণে কোনো কোনো কর্মকর্তার মূল বেতনে হাত-ই দেয়া লাগে না। জনগণের অর্থ এভাবে অযাচিত ব্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ভাতা বা সম্মানী প্রদানের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট একটা নীতিমালা তৈরির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, যেকোনো ধরনের বরাদ্দের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা সরকারের দায়িত্ব।

গত ২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) ১২তম একনেক সভায় দুটি এবং ২৭ আগস্ট (মঙ্গলবার) ১৩তম সভায় পাঁচটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। ওই সাত সংশোধিত প্রকল্প ঘেঁটে ‘ভাতা’ হিসেবে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে ‘অদ্ভূত’ ও ‘সৃজনশীল’ নামের সন্ধান পাওয়া যায়। কোনো ভাতার নাম ‘প্রকল্প ভাতা’, কোনোটির নাম ‘অন্যান্য ভাতা’, ‘প্রকল্প ভাতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যয়’, রয়েছে ‘সম্মানী/ফি/চাঁদা’ ভাতাও। আবার ‘দায়িত্বভার’ নামেও ভাতার সংস্থান রাখা হয়েছে প্রকল্পে।

‘প্রকল্প ভাতা’, ‘অন্যান্য ভাতা’, ‘প্রকল্প ভাতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যয়’ – এসব ভাতার নামে বরাদ্দ ‘অস্পষ্ট খরচ বা বাণিজ্য’ হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেকে।

এসব ছাড়াও রয়েছে আরও নানা জাতের ভাতা। এর মধ্যে রয়েছে ‘সম্মানী/ফি/চাঁদা’, ‘বাড়ি ভাড়া’, ‘চিকিৎসা’, ‘টিফিন’, ‘ভ্রমণ’, ‘শ্রান্তি-বিনোদন’, ‘নববর্ষ’, ‘সম্মানী’, ‘শিক্ষা’, ‘মোবাইল’, ‘যাতায়াত’, ‘উৎসব’ ও ‘ওভারটাইম’ ভাতা।

Advertisement

কোনো কোনো প্রকল্পে ‘ভ্রমণ’, ‘আপ্যায়ন’, ‘সম্মানী’, ‘যাতায়াত’-কে ভাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে অন্যান্য খাত হিসেবে উল্লেখ করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আবার কিছু কিছু প্রকল্পে এগুলো ভাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

মূল প্রকল্পে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভাতার জন্য বরাদ্দ না থাকলেও সংশোধনে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মূল প্রকল্পে, সংশোধন করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে, কোনো ক্ষেত্রে কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে টাকার পরিমাণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পে ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। ভাতা হিসেবে কোনটাতে বরাদ্দ দিতে হবে, কোনটাতে ভাতা আছে, থাকলে কেন আছে, না থাকলে কেন নেই – এসব হিসাব পরিষ্কার থাকতে হবে। তা না হলে ভাতার নামে উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা লুটপাটের যে অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন সময়ে, অভিযোগগুলো দিন দিন আরও গুরুতর হবে।

ভাতায় ‘নৈরাজ্যের’ চিত্র

ক. কর্মচারীরা যে ভাতা পেতেন, সংশোধনীতে সেটাও নেন কর্মকর্তারা

১৩তম একনেক সভায় অনুমোদিত পাঁচটি সংশোধিত প্রকল্পের একটি ‘বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ (প্রথম সংশোধনী)’। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বস্ত্র অধিদফতর বাস্তবায়ন করছে এটি।

এ প্রকল্পে ভাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে দায়িত্বভার, শিক্ষা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, মোবাইল, যাতায়াত, টিফিন, উৎসব, ওভারটাইম ও শ্রান্তি-বিনোদন-কে। মূল প্রকল্পে দায়িত্বভার, মোবাইল, যাতায়াত, ওভারটাইম ও শ্রান্তি-বিনোদন ভাতার কোনো সংস্থান ছিল না। সংশোধন করে তা আনা হয়েছে।

এ প্রকল্পে দুজন কর্মকর্তা ও দুজন কর্মচারীর সংস্থান রাখা হয়েছে। মূল প্রকল্পে শিক্ষা, বাড়ি ও চিকিৎসা ভাতা তিনজন নেয়ার কথা থাকলেও সংশোধনীতে চারজনই এ ভাতা নেবেন। টিফিন ভাতা একজনের নেয়ার কথা থাকলেও সংশোধনীতে দুজনের নেয়ার সংস্থান করা হয়েছে। উৎসব ভাতা চারজনই নেবেন। সংশোধনী করে দায়িত্বভার ভাতা একজনের নেয়ার সংস্থান রাখা হয়েছে।

মূল প্রকল্পে ভাতার জন্য বরাদ্দ ছিল পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। সংশোধন করে তা করা হয়েছে ৪২ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ প্রকল্পে ভাতার ব্যয় বেড়েছে সাতগুণের বেশি।

কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প

তবে বিভিন্ন কমিটির সম্মানী, আপ্যায়ন ব্যয় ও অভ্যন্তরীণ ভ্রমণকে ভাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। বিভিন্ন কমিটির সম্মানীর জন্য মূল প্রকল্পে পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও পরবর্তীতে তা ১০ লাখ করা হয়। আপ্যায়ন ব্যয় প্রথমে না থাকলেও পরবর্তীতে এক লাখ করা হয় এবং অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে প্রথমে তিন লাখ করা হলেও পরবর্তীতে তা ছয় লাখ করা হয়েছে।

খ. অন্যান্য ভাতা : সংশোধনীতে বেড়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ

এর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘আলীকদম-জালানিপাড়া-কুরুকপাতা-পোয়ামুহুরী সড়ক (প্রথম সংশোধন)’ মূল প্রকল্পে অন্যান্য ভাতায় বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনীতে এর ব্যয় বাড়িয়ে করা হয়েছে চার কোটি ৬০ লাখ ৩২ হাজার টাকা। অর্থাৎ দুই কোটি ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা বেড়েছে অন্যান্য ভাতায়।

গ. ভাতার নাম ‘প্রকল্প ভাতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যয়’

স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বাস্তবায়ন করছে ‘ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্পে ‘প্রকল্প ভাতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যয়’ নামে দুই কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সংশোধনীতে এর পরিবর্তন হয়নি।

ভ্রমণ, আপ্যায়ন, সম্মানী ও বিদেশে প্রশিক্ষণ- এখানে ভাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। এ প্রকল্পে ভ্রমণ ব্যয় পাঁচ লাখ, আপ্যায়ন ব্যয় পাঁচ লাখ, সম্মানী ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ রয়েছে। এগুলো সংশোধনীতে বাড়েনি।

ঘ. ‘ভ্রমণ’ ভাতা, ‘অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ’ ভাতা নয়!

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও গণপূর্ত অধিদফতর বাস্তবায়ন করছে ‘কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন, মানিকগঞ্জ (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্পটি।

এ প্রকল্পে ভাতা হিসেবে উল্লেখ আছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, টিফিন, ভ্রমণ, শ্রান্তি-বিনোদন, নববর্ষ, সম্মানী। ভাতাগুলো দুজন কর্মচারীর জন্য বরাদ্দ। তারা রাজস্ব খাত থেকে এ ভাতা পাবেন। মূল ডিপিপিতে থোক ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল তাদের জন্য। সংশোধন করে তা করা হয়েছে ২৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা।

এ প্রকল্পে সরবরাহ ও সেবা খাতে আপ্যায়ন ব্যয় মূল ডিপিপিতে শূন্য থাকলেও প্রথম সংশোধনীতে ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এখানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আনুষঙ্গিক কর্মচারীর সংস্থান রাখা হয়েছে।

যাতায়াত ও অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ ব্যয় এখানে ভাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। যাতায়াত ব্যয় মূল ডিপিপিতে শূন্য থাকলেও সংশোধনীতে দুই লাখ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ ব্যয় শূন্য থেকে চার লাখ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ ব্যয় দুই লাখ থেকে আড়াই লাখ করা হয়েছে।

ঙ. প্রকল্পটিতে নেই ভাতার জোগাড়

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ) বাস্তবায়ন করছে ‘বড়তাকিয়া (আবু তোরাব) থেকে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধন)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পে কোনো ধরনের ভাতার সংস্থান রাখা হয়নি।

চ. এক সংশোধনীতেই বাড়ে প্রায় ৭৮ লাখ

১২তম একনেক সভার দুটি সংশোধিত প্রকল্পের একটি ‘থানচি-রিমাকরি-মদক-লিকরি সড়ক নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’। প্রকল্পটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)/বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে। মূল প্রকল্পে এতে ‘অন্যান্য ভাতা’য় দুই কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। সংশোধন করে এর পরিমাণ দাঁড় করানো হয়েছে তিন কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।

ছ. ‘চাঁদা’ও ভাতা!

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে ভোলা জেলার চরফ্যাশন পৌর শহর সংরক্ষণ (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। এতে সম্মানী/ফি/চাঁদার নামে পাঁচ লাখ টাকা থোক বরাদ্দ দেয়া হয় মূল প্রকল্পে। পরে প্রথম সংশোধনীতে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে আট লাখ টাকা।

ভাতার স্ট্যান্ডার্ড থাকা উচিত : টিআইবি

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রকল্পে ভাতার একটা স্ট্যান্ডার্ড থাকা উচিত। এখানে কতগুলো বিষয় আছে। কোনো কোনো প্রকল্পে মৌলিক কর্মকর্তা থাকে। তারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে ভাতা পেলে সেক্ষেত্রে তার বাড়িভাড়া, গাড়িভাড়া, খাওয়া, থাকা – এগুলো প্রযোজ্য হবে না। এগুলো তো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত থাকার কথা। সে অনুযায়ী, বাজেট হওয়ার কথা। ভাতার একটা নীতিমালা থাকা দরকার। সেটা বরাদ্দের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা সরকারের দায়িত্ব।’

ভাতা এক প্রকল্পে আছে, আরেক প্রকল্পে নেই – এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে প্রকল্পে নেই, সেটাতে কেন নেই? যেটাতে আছে, সেটাতে কেন বরাদ্দ আছে? থাকাটাও যতটা যৌক্তিক, তেমনি না থাকাটাও অযৌক্তিক। কেন থাকবে, কেন থাকবে না– এগুলো সুস্পষ্ট করা প্রয়োজন।’

পিডি/এমএআর/এমকেএইচ