সৌদির দু'টি তেলক্ষেত্রে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানের সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ইরানকেই এই হামলার জন্য দায়ী করা হচ্ছে। তবে ওই হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে তেহরান।
Advertisement
এদিকে ইরানের সঙ্গে এমন উত্তেজনার মধ্যেই সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে, ওই অঞ্চলে ইরানের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড এবং সৌদির তেলক্ষেত্রে হামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ সৌদির জেদ্দায় সফরের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশে সফর শুরু করবেন পম্পেও। সেখানে তিনি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। তিনি প্রিন্স সালমানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে সৌদির তেলক্ষেত্রে হামলার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
সৌদি সফর শেষে তিনি আবু ধাবির উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানে তিনি আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানে দু'দেশের মধ্যকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এই দুই শীর্ষ নেতা।
Advertisement
শনিবার সৌদির অ্যারামকো তেল কোম্পানির আবকাইক ও খুরাইশ স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এতে ওই দুই তেলক্ষেত্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যেখান থেকে সৌদিতে হামলা চালানো হয়েছে সেই এলাকা শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ইরান থেকেই সৌদির দুই তেলক্ষেত্রে ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবারের ওই হামলার পর সৌদির তেল ও গ্যাস উৎপাদন শতকরা ৫০ ভাগ কমে গেছে। সৌদিতে তেল উৎপাদন প্রতিদিন ৫৭ লাখ ব্যারেল কমে গেছে। এদিকে মঙ্গলবার হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি ওই এলাকায় বিদেশিদের প্রবেশ না করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কারণ সেখানে হুথি বিদ্রোহীরা আবারও হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
টিটিএন/এমএস
Advertisement