ক্যাম্পাস

জাবিতে ছাত্রলীগের উত্তেজনায় সংঘর্ষের আশঙ্কা

উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং ছাত্রলীগ নেতাদের স্বীকারোক্তিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে মুখোমুখি অবস্থান করছে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দামের গ্রুপ।

Advertisement

এছাড়া ছেলেদের হলগুলোতে অস্ত্র ঢোকার খবর পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে থাকলেও, যে কোন মুহূর্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্টরা।

গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রকল্পে দুর্নীতি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের মধ্যকার ফোনালাপ ফাঁস হয়। এরপর থেকেই ক্যাম্পাসে শাখা ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আর এ ঘটনার পর থেকেই ক্যাম্পাসে অস্ত্র ঢুকতে শুরু করেছে বলে শাখা ছাত্রলীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ গত সোমবার রাতে মওলানা ভাসানী হলে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্তত ২০ রাউন্ড গুলি ঢুকেছে। এছাড়া শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা একই রাতে ক্যাম্পাসে এসে দুটি পিস্তল রেখে গেছেন।

Advertisement

বিভিন্ন সময় শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পাসের ৮টি ছেলেদের হল মিলিয়ে অন্তত ৩০টির বেশি আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ থাকে।

অপর এক সূত্রে জানা গেছে, শাখা ছাত্রলীগ নেতারা তাদের অস্ত্রগুলো ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতো। কিন্তু বর্তমানে সেগুলো ক্যাম্পাসে আনা হয়েছে।

এছাড়া হলগুলোতে মজুদ করা হচ্ছে দেশীয় অস্ত্র। যার মধ্যে রয়েছে- ক্রিচ, রামদা, ছুরি, হকিস্টিক, রড, পাইপ ইত্যাদি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘একটি পক্ষ ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা চালাচ্ছে। তারা চাচ্ছে আমরা তাদের সাথে সংঘর্ষে যাই। কিন্তু তাদের মতলব বুঝতে পেরে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমরাও এসব বিষয় সম্পর্কে শুনেছি। সে অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে যদি কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় তবে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

ফারুক হোসেন/এমআরএম