প্রত্যেক কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার এবং মাতৃদুগ্ধ কর্নার নিশ্চিতে শ্রম পরিদর্শকদের নির্দেশ দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে গাফিলতির কোনো সুযোগ নেই।’ মঙ্গলবার সিরডাপ মিলায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফ আয়োজিত শ্রম পরিদর্শকদের জন্য ‘মাদার্স অ্যাট ওয়ার্ক’ শীর্ষক ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী যে সব কারখানায় ৪০ জনের বেশি নারীকর্মী কাজ করেন সেখানে ডে-কেয়ার সেন্টার এবং মাতৃদুগ্ধ কর্নার থাকা বাধ্যতামূলক। কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার এবং মাতৃদুগ্ধ কেন্দ্র স্থাপন দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ। যদি ডে-কেয়ার সেন্টারের অভাবে কোন দক্ষকর্মী চাকরি ছেড়ে যায় তাহলে তা শিল্পের জন্য ক্ষতি।’ তিনি বলেন, ‘দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির বিকল্প নেই। বেশি বেশি প্রশিক্ষণ শ্রম পরিদর্শকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গার্মেন্ট শিল্পের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০২২ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। একই সঙ্গে সরকার কারখানার শোভন কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতে বদ্ধ পরিকর।’ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে ৪ হাজার ৯০৭টি কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার এবং মাতৃদুগ্ধ কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। শ্রম পরিদর্শকদের চেকলিস্টে ১০০টি প্রশ্নের মধ্যে ১০টি প্রশ্নই রয়েছে মাতৃত্ব নিয়ে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর মাতৃত্ব কল্যাণ সুরক্ষায় নানামুখি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম, অতিরিক্ত সচিব মোল্লা জালাল উদ্দিন এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো হোজুমি বক্তব্য দেন। ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ২৫ শ্রম পরিদর্শক অংশগ্রহণ করেন। আরএমএম/এমইউএইচ/জেএইচ/এমএস
Advertisement