জাতীয়

বৈষম্য দূরীকরণে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি

৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণে কোনো ব্যবস্থা না নিলে মানববন্ধন এবং পরবর্তিতে কঠোর কর্মসূচি পালন করার হুশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সরকারি কর্মকর্তা পরিষদ।শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি জানানো হয়।দাবি আদায়ে আগামী ৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাব ও হাইকোর্টের সামনে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি এবং মানববন্ধন শেষে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।বক্তারা বলেন, অষ্টম পে-স্কেলে কমিশনের সুপারিশ বিবেচনায় না নিয়ে সরকার সাড়ে ৩ লাখ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করেছে। এছাড়া কর্মকর্তাদের ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে বিভাজন করায় অন্যান্য সকল ক্ষেত্রেই শ্রেণি বৈষম্য ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে।তারা বলেন, ‘৭৫ এর পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন সরকারগুলো রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্যাডার- নন ক্যাডার ও আন্তঃসার্ভিসে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সম্মিলিত সরকারি কর্মকর্তা পরিষদের মহাসচিব মো. জিন্নাত আলী বিশ্বাস পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।দাবিগুলো হলো:এক. সর্বস্তরে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল প্রথা পূর্বের ন্যায় বহাল রাখতে হবে।দুই. নির্ধারিত সময়ান্তে কর্মকর্তাদের ন্যায় নন ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।তিন. ১ম শ্রেণির চাকরির ৫ বছর পূর্তিতে সিনিয়র স্কেল/৬ষ্ঠ গ্রেড, দশ বছর পূর্তিতে উচ্চতর স্কেল/৫ম গ্রেড প্রদানসহ চাকরি জীবনে কমপক্ষে চারটি বেতন ধাপ পরিবর্তনের সুযোগ রাখতে হবে। অপরদিকে ২য় শ্রেণির কর্মকর্তাদের ৭ম বেতন কাঠামোতে বিদ্যমান তিনটি টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখাসহ চাকরি জীবনে কমপক্ষে চারটি বেতন ধাপ পরিবর্তনের সুযোগ রাখতে হবে।চার. স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে চাকরিতে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে সমতা বিধান করে ক্যাডার কর্মকর্তাদের দেয়া সকল সুবিধা নন ক্যাডার কর্মকর্তাদের দিতে হবে।পাঁচ. ট্রেজারি রুলসের বিধি ১৩ এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে উপজেলা পর্যায়ে ১৬টি বিভাগকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অধীনে ন্যাস্ত করার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনে সভাপতি মো. শফিউল আজম, মহাসচিব মো. জিন্নাত আলী বিশ্বাস প্রমুখ।আএসএস/একে

Advertisement