কুমিল্লার আদালতে ছুরি নিয়ে প্রবেশের সময় রোজিনা আক্তার (৩৬) নামের নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে বিয়ের কাবিননামা সংগ্রহের জন্য ওই নারী আদালতে প্রবেশের সময় পুলিশ তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাসি করে একটি ছোরাসহ তাকে আটক করে।
Advertisement
রোজিনার গ্রামের বাড়ি জেলার লালমাই উপজেলার তুলাতলী গ্রামে। ছোরা রাখার কারণ অনুসন্ধানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিকালে কুমিল্লা আদালতে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এরই অংশ হিসেবে আজ আদালতের গেটে তল্লাসে চালিয়ে ওই মহিলার ব্যাগে একটি ছোরা পেয়ে তাকে আটক করা হয়। কেন ব্যাগে ছোরা নিয়ে তিনি আদালতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার প্রথম বিয়ে ডিভোর্স হয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ের কাগজপত্রের জন্য তিনি আদালতে এসেছিলেন। পুলিশ সুপার আরও জানান, ওই নারীর বিষয়ে আরও খোঁজ খবর নিয়ে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উল্লেখ, চলতি বছরের ১৫ জুলাই কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে প্রকাশ্যেই ঘটে খুনের ঘটনা। ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের আবদুল করিম হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় হঠাৎ পকেট থেকে উন্মুক্ত ধারালো ছুরি হাতে ওই হত্যা মামলার ৬নং এজাহারনামীয় আসামি হাসান একই হত্যা মামলার ৪নং আসামি ফারুককে হত্যা করতে উদ্যত হয়। এক পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে ফারুক দৌঁড়ে বিচারকের খাস কামরায় আশ্রয় নিলেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে সে সেখানে লুটিয়ে পড়ে। পড়ে কুমেক হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। নিহত ফারুক কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের অহিদ উল্লাহর ছেলে। ঘাতক হাসান কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে।
Advertisement
কামাল উদ্দিন/এমএএস/পিআর