সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি অ্যারামকোর দুটি গুরুত্বপূর্ণ তেল স্থাপনায় গতকাল শনিবার ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। এর জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা হামলার দায় স্বীকার করলেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তা প্রত্যাখ্যান করে ইরানকে দায়ী করেছেন।
Advertisement
মাইক পম্পেওর দাবি, ‘রুহানি ও জারিফ (ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী) কূটনৈতিক সম্পর্কে জড়িত থাকার ভান করে অন্ধভাবে সৌদি আরবে প্রায় একশ হামলা করেছে তেহরান। অচলাবস্থা নিরসনের সকল আহ্বান উপেক্ষা করে ইরান বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের ওপর অভিনব হামলা চালাচ্ছে।’
হামলার বেশ কয়েক ঘণ্টা পর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনে শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও স্পষ্ট করে না বললেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, হুথিরা ড্রোন হামলা করেনি। ইরান হুথিদের নাম করে অভিনব কৌশলে এই হামলা চালিয়েছে।
সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী বলেছেন, হামলার কারণে দৈনিক তেল উৎপাদন ৫৭ ব্যারেল কমে যাবে। যা দেশটির মোট দৈনিক তেল উৎপাদনের অর্ধেক এবং যা বিশ্বের মোট তেল সরবরাহের পাঁচ শতাংশের বেশি। বিবিসি বলছে, এ ঘটনায় বিশ্ব বাজারে তেলের মূল্য বেড়ে যাবে, তৈরি হবে অস্থিতিশীলতা।
Advertisement
দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার ঘটনা নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটন রিয়াদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলে সৌদি যুবরাজ ও দেশটির ডি-ফ্যাক্টো নেতা মোহাম্মদ বিন সালমানকে আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Tehran is behind nearly 100 attacks on Saudi Arabia while Rouhani and Zarif pretend to engage in diplomacy. Amid all the calls for de-escalation, Iran has now launched an unprecedented attack on the world’s energy supply. There is no evidence the attacks came from Yemen.
— Secretary Pompeo (@SecPompeo) September 14, 2019এসএ/পিআর
Advertisement